নয়াদিল্লি : অযোধ্য়ায় ( Ayodhya ) রামলালার ( Ramlalla ) প্রাণ প্রতিষ্ঠায় স্থগিতাদেশ চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠায় স্থগিতাদেশ চাওয়া হল। আদালতের কাছে জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ভোলা দাস নামে এক ব্যক্তি।
শঙ্করাচার্যদের আপত্তির কথা পিটিশনে
ওই আবেদনে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। রামলালার মূর্তি নির্মাণাধীন মন্দিরে স্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই অনুষ্ঠানটি পরিবেশন করবেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর্মসূচিতে শঙ্করাচার্যদের আপত্তি রয়েছে। পৌষ মাসে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না। মন্দিরটি এখনও অসম্পূর্ণ। একটি অসম্পূর্ণ মন্দিরে, কোনও দেবতার অভিষেক করা যায় না। পিটিশনে এই 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা'কে সনাতন ঐতিহ্যের বিরুদ্ধ বলে বলা হয়েছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী লাভের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই পিটিশনে। অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে সুযোগ নিতে চাইছে বিজেপি। অসম্পূর্ণ মন্দিরে কোনও দেব-দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে পারে না বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে জানান শঙ্করাচার্যরা। অসম্পূর্ণ মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঠিক নয় বলে মত প্রকাশ করেন জ্যোর্তিপীঠের শঙ্করাচার্য। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায়, ভারতবর্ষের ৪ জন শঙ্করাচার্যের মধ্যে উপস্থিত থাকছেন না ৩ জনই।
গোটা দেশে চারজন শঙ্করাচার্য রয়েছেন। তাঁরা হলেন,পুরীর গোবর্ধন মঠের শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী,উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ বা জ্যোতির্পীঠ শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী,কর্ণাটকের শৃঙ্গেরী সারদা পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী ভারতী তীর্থ,এবং দ্বারকার সারদা পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী। হিন্দু ধর্মে এই শঙ্করাচার্যদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁরাই এই প্রাণপ্রতিষ্ঠার বিষয়টিতে সমর্থন জানাচ্ছেন না।
অযোধ্যা ছাড়িয়ে রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আর তারই মাঝে, খোদ শঙ্করাচার্যদের এমন বক্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এবার তাদের আপত্তির কারণ উল্লেখ করেই আদালতে করা হল মামলা।
আরও পড়ুন :