কলকাতা: ৩ দিন পর ফের বাড়ল জ্বালানির দাম। লিটারপ্রতি ৩৯ পয়সা বেড়ে আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০১ টাকা ৭৪ পয়সা। বেড়েছে ডিজেলের দামও। লিটারপ্রতি ২১ পয়সা বেড়ে কলকাতায় ডিজেলের নতুন দাম হয়েছে ৯৩ টাকা ২ পয়সা। লাগামছাড়া পেট্রোলের দামে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
এর আগে সোমবার দাম বাড়ে পেট্রোলের। যদিও কমেছিল ডিজেলের দাম। লিটারপ্রতি ৩৪ পয়সা বেড়ে সোমবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম হয় ১০১ টাকা ৩৫ পয়সা। তবে কিছুটা কমে ডিজেলের দাম। লিটারপ্রতি ১৬ পয়সা কমে কলকাতায় ডিজেলের নতুন দাম হয় ৯২ টাকা ৮১ পয়সা।
পেট্রোলের দামে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি হয়েছে আগেই। শুধু এরাজ্যই নয়, গোটা দেশেই এক পরিস্থিতি। বিশ্ব বাজারে দাম আগের তুলনায় কম হলেও, ভারতে ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোপণ্যের দাম। এই অবস্থায়, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সাধারণ মানুষের। একে একে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় পেট্রোলের দাম সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ১০০ টাকা পেরিয়ে গেছে। জুলাই মাস অর্ধেক যেতে না যেতেই, ১০ বার বেড়েছে পেট্রোলের দাম, ডিজেল ৯ বার। মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ের ধাক্কায়, পেট্রোলের লজ্জার সেঞ্চুরির রেকর্ড ডিজেল ছুঁয়ে ফেলল বলে। ডিজেলের আগুনের দামের জেরে বাস চালাতেই রাজি নন মালিকদের বড় অংশ। ক্ষতির বহর তুলে ধরে, বাস ভাড়াবৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে রাজ্যকে চিঠিও দিয়েছে একাধিক সংগঠন
কার্যত গোটা দেশেই এখন এই অবস্থা। যা কোনওদিন হয়নি এখন তাই হচ্ছে। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা সহ চেন্নাই দেশের চার মেট্রো শহরেই সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে পেট্রোল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। ডিজেলও সেই রাস্তায় এগোচ্ছে। কিন্তু, বিশ্ব বাজারে দাম আগের তুলনায় কম হওয়া সত্ত্বেও, ভারতে পেট্রেপণ্যের দাম কেন লাগাতার উর্ধ্বমুখী?
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ডিজেলের ওপর মনমোহন সরকার এক্সাইজ ডিউটি নিত ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। কিন্তু, এখন মোদি সরকার নেয় ৩১ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ ইউপিএ সরকারের তুলনায় পেট্রোলের ওপর এক্সাইজ ডিউটি ৮০০ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিজেলের ওপর বেড়েছে প্রায় আড়াইশো শতাংশ। গত বছর লকডাউনের সময়, বিশ্বজুড়ে পেট্রোপণ্যের চাহিদা কমে যায়। বিশ্ববাজারে কমে অপরিশোধিত তেলের দাম। কিন্তু, কেন্দ্র সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের উপর এক্সাইজ ডিউটি বাড়িয়ে দেয়। এই অবস্থায়, পেট্রোপণ্যের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।