বেঙ্গালুরু: ‘গগনযান’ অভিযানের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে গতকাল সফলভাবে তৃতীয়বার লিকুইড প্রপেল্যান্ট ইঞ্জিনের দীর্ঘমেয়াদী থার্মাল টেস্ট করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। ট্যুইট করে ইসরোর পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। ইসরোর এই ট্যুইট দেখে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন’। এরপর তিনি ভারতের পতাকার ছবি দেন।


‘গগনযান’-এর মাধ্যমে প্রথমবার মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ইসরো। সেই কারণেই এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে রাকেশ শর্মা, কল্পনা চাওলা, সুনীতা উইলিয়ামসের মতো ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা মহাকাশে গিয়েছেন, কিন্তু কোনও অভিযানই ইসরোর ছিল না। এবারই প্রথম এই অভিযানের পরিকল্পনা করেছে ইসরো। ‘গগনযান’-এর প্রস্তুতি ভালভাবেই চলছে। ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিএসএলভি এম কে ৩ যানের এল১১০ লিকুইড স্টেজের পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে। গগনযান অভিযানের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে ইসরো প্রপালসন কমপ্লেক্সে ২৪০ সেকেন্ডের জন্য ইঞ্জিন চালু করা হয়। ইঞ্জিনে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। পরীক্ষা সফল হয়েছে।


মহাকাশ মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবার মহাকাশে মানবহীন যান পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তারপর ২০২২-২৩-এ দ্বিতীয়বার মহাকাশে মানবহীন যান পাঠাবে ইসরো। এই দু’টি অভিযান সফল হলে তারপর মহাকাশচারী পাঠানো হবে। 


এর আগে গত বছর ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন ইঙ্গিত দেন, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২২-এর অগাস্টে ‘গগনযান’ অভিযানের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে। যদিও করোনা সংক্রমণের জেরে সামান্য পরিবর্তনও হতে পারে এই সময়সীমায়। ২০২২-এ গগনযান মিশন তিনজন মহাকাশচারীকে মহাশূন্যে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। পাঁচ থেকে সাতদিন মহাকাশে কাটাবেন তাঁরা। এ জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার ৪ সদস্যকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণও চলছে পুরোদমে। হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড ও ডিআরডিও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে সাহায্য করছে ইসরো-কে। ডিআরডিও মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার মত খাবারদাবার, ক্রুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্যবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়ে খেয়াল রাখছে।