নয়াদিল্লি: সোমবারও জ্বালানির দাম অপরিবর্তিতই রইল। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল  কোম্পানিগুলি সোমবারও পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যে কোনও পরিবর্তন ঘটাল না। এই নিয়ে টানা ২৩ দিন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম স্থির রয়েছে। 


মার্কিন ডলারের দাম বৃদ্ধি ও এশিয়ায়, বিশেষ করে চিনে, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নয়া বিধিনিষেধের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্য প্রায় ১.৫ শতাংশ কমেছে। বিশ্বে জ্বালানির চাহিদার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে নয়া বিধিনিষেধ। এ কারণেই আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। 
অপরিশোধিত তেলের দাম অনেকটাই কমে যাওয়া সত্ত্বেও দেশের বাজারে জ্বালানির দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম দেশে রেকর্ড স্তরেই রয়েছে। দিল্লিতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১০১.৮৪ টাকা।মুম্বইতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে প্রায় ১০৮ টাকা। কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১০২ টাকার বেশি। একই দাম চেন্নাইতেও। দেশে প্রায় ২৫-৩০ টি শহরে পেট্রোলের দাম ইতিমধ্যেই ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। 


পেট্রোলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ডিজেলের দামও। দিল্লিতে ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৮৯.৮৭ টাকা। কিন্তু কলকাতা, মুম্বই ও চেন্নাইয়ের মতো মহানগরগুলিতে ডিজেলের দাম লিটারে ৯০ টাকার বেশি। কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারে ১০২.০৮ টাকা। ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৯৩.০২ টাকা। 


রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি তাদের দৈনিক মূল্য সংশোধনে দর কমালে তবেই এই দুই জ্বালানির দাম কমতে পারে।  আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের ওঠা-নামার কারণে প্রায় তিন সপ্তাহ দেশে জ্বালানির মূল্য একই রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। 


কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, এই মুহূর্তে জ্বালানির ওপর বসানো কর হ্রাসের মতো মতো অবস্থায় নেই। উল্লেখযোগ্য যে, অতিমারীর পর এক্সাইড ডিউটি বাড়ানোর পর  ভারতেই  বিশ্বে পেট্রোল ও ডিজেল থেকে সবচেয়ে বেশি কর আদায় করে। 


এমনকি রাজ্য সরকারগুলিও জানিয়েছে যে, তারা চলতি আর্থিক অবস্থার কারণে পেট্রোল ও ডিজেল থেকে সংগৃহীত ভ্যাট কমাতে অপারগ। কাজেই তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি দৈনিক মূল্য সংশোধনে দর না কমালে পেট্রোল  ও ডিজেলের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওঠা-নামার কারণে কোম্পানিগুলিও দাম কমানোর রাস্তায় আপাতত নেই বলেই জানা যাচ্ছে।