নিউইয়র্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। বিশ্ব জুড়ে হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আমেরিকার বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রখ্যাত মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা পিএফআইজার ইনক, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করল মানব শরীরে। কয়েক মাসের মধ্যেই তৈরি হতে পারে অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট, আশা দেখিয়েছে তারা।
সারা বিশ্বের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে গাইলিড সায়েন্সেস ইনক রেমডেসিভির তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন সংস্থা রিজেনেরন জানিয়েছে পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট তৈরি হচ্ছে, জুন নাগাদ তা মানবশরীরে প্রয়োগ করে দেখা হবে। সফল হলে শরৎকালের মধ্যেই প্রস্তুত হবে অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্ট। যদিও এই পরীক্ষামূলক অ্যান্টবডি ট্রিটমেন্ট সফল হওয়া, না-হওয়া অনেককিছুর উপর নির্ভর করছে। অনেক ঝুঁকিও আছে, জানিয়েছেন রিজেনেরনের সায়েনটিফিক অফিসার।
পিএফআইজার ইনক জার্মানি এক সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে এই গবেষণা চালাচ্ছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ মাসেরও কম সময়ে প্রিক্লিনিক্যাল স্টাডি থেকে হিউম্যান টেস্টিং-এর পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছে তারা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন এমন মানুষদের উপর প্রথম ৪টি ভ্যাকসিন শট প্রয়োগ করা হয়েছে। জিন নির্ভর প্রযুক্তিতে ভরসা করে এই ভ্যাক্সিন তৈরি হয়েছে, জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।
ওই আরএনএ শরীরে ঢুকে কোষকে নির্দেশ দেবে ভাইরাল প্রোটিন তৈরির জন্য। যা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে।
আপাতত ১৮-৫৫ বছর বয়সীদের উপর এই ট্রায়াল হয়েছে। সফল হলে বয়স্কদের উপরও পরীক্ষা করা হবে। এরপর দেখা হবে, এই ভ্য়াকসিন মানবদেহে করোনা ভাইরাসকে ঘায়েল করতে পারে কি না।
৩৬০ জনের উপর করা হয়েছে পরীক্ষা। ফল আসতে-আসতে পরের মাস।
আরও কতগুলি মার্কিন সংস্থা আছে ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে।
মডারেনা নামক সংস্থাও আরএনএ-প্রযুক্তির সাহায্যে ভ্যাকসিন তৈরির পথে। তারা গত মার্চই প্রথম ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে দেখেছিল।