ক্যালিফোর্নিয়া: কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার তিন দিন পরেই বিয়ে সেরে ফেললেন লরেন জিমিনেজ। তবে অভিনব পদ্ধতিতে। ওয়েডিং গাউন পরে, হাতে ফুল নিয়ে কনের সাজে দোতলায় বসে লরেন। নীচে বাগানে পাণিপ্রার্থী প্যাট্রিক ডেলগাডো। এ ভাবেই করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজার রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আমেরিকার লরেন ও প্যাট্রিক।

এনগেজমেন্ট সেরে ফেলেছিলেন ২০১৯ সালে। ঠিক ছিল জাঁকজমক করে বিয়েটা সারবেন ২০২০-তে। কিন্তু হিসেব ওলটপালট করে দিল অতিমারী। করোনা সংক্রমণের জেরে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও বিয়ের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছিল। তিন তিন বার বিয়ে পিছোনোর পর যুগল ঠিক করেছিলেন নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ভাবে এক সঙ্গে পথ চলা  শুরু করবেন। কিন্তু কথায় বলে মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক। প্যাট্রিক, লরেনের জীবনেও তাই। বিয়ের তিন আগেই কনে লরেনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রাথমিকভাবে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন লরেন, প্যাট্রিক ও দুই পরিবারের সদস্যরা। কী করে বিয়ে হবে, তা নিয়ে মাখায় আকাশ ভেঙে পড়ে।

লরেনের পক্ষে আইসোলশনে থাকাটাও জরুরি ছিল। কিন্তু সে সবের মধ্যেই দুজনে ঠিক করেন আর বিয়ে পিছোবেন না। ফলে কনের সাজে হাতে ফুল নিয়ে দোতলায় প্যাট্রিকের অপেক্ষায় থাকেন লরেন। দোতলা থেকে কয়েক ফিট লম্বা ফিতে এসে পৌঁছয় নীচে বাগানে প্যাট্রিকের কাছে। অনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। লরেন বলেছেন, যদিও যে ভাবে আমরা আমাদের বিয়ের দিনটি পরিকল্পনা করেছিলাম, তা অবশ্যই নয় । কিন্তু প্যাট্রিক এবং আমি একে অপরের হয়ে উঠতে পেরেছি।

চার বছরের ভালোবাসা গতবছর আনুষ্ঠানিক পরিণতি পেলেও, করোনা এলোমেলো করে দিয়েছিল দাম্পত্যের শুরুটা। কিন্তু ভালোবাসার শক্তির কাছে সব কিছু যে মিথ্যা, তা ফের প্রমাণ করলেন প্যাট্রিক-লরেন।