কলকাতা : কোভিডের গ্রাফ মাত্রা ছাড়াতেই দেশজুড়ে বেড়েছে অক্সিজেনের চাহিদা। বহু রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতলে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। বেগতিক দেখে আগেই বাড়িতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রাখতে চাইছেন অনেকেই। কীভাবে নেবেন সঠিক সিদ্ধান্ত ?


দেশের করোনা চিত্র বলছে, কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়তেই মারাত্মক চাহিদা হয়েছে অক্সিজেনের। দিল্লি , হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশে হাসপাতালগুলির ভয়াবহ অবস্থা। যার জেরে বাড়িতেই আগেভাগে বিকল্প রাখতে চাইছে মানুষ। 


অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আসলে কী ?


অক্সিজেন কনসেনট্রেটর একটা যন্ত্র যার মাধ্যমে রোগীর দেহে অতিরিক্ত অক্সিজেনপূর্ণ বাতাস ঢুকতে পারে। ফুসফুস ও শ্বাসজনিত সমস্যার কোনও রোগীর ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যবহার করা হয় এই যন্ত্র।


কখন লাগে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ?


যখন কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪ শতাংশের নীচে নেমে যায়, তখনই এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। মূলত, রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হলেই এই অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয়। যাতে তাঁর অন্যান্য শারীরিক অঙ্গগুলি চলতে থাকে। এবিষয়ে বিপিএল মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের সিইও ও এমডি সুনীল খুরানা বলেন, ''অতিরিক্ত অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রে রোগীর নাসাল ক্যানিউলা দিয়ে প্রাণবায়ু পাঠানো হয়। কনসেনট্রেটরের প্রসঙ্গে ফর্টিস হসপিটালের রবি শেখর ঝা জানান, এটা এক ধরনের এয়ার কন্ডিশনিং মেশিন। যা বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা মডিফাই করে চৌহদ্দির মধ্যেই ছেড়ে দেয়। 


কীভাবে এই যন্ত্রগুলো কাজ করে ?


অক্সিজেন কনসেনট্রেটর একটা ইলেকট্রনিক মেশিন। যা ঘরের বাতাস থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করে। পরে সেই কনসেনট্রেটেড অক্সিজেন সবার ন্যাসাল ক্যানিউলা দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। ক্লিনিক্যাল স্টাডিজে দেখা গেছে, অন্যভাবে অক্সিজেন দেওয়ার পদ্ধতির মতোই এরও সমান থেরাপিউটিক ভ্যালু আছে।


কত ধরনের কনসেনট্রেটর হয় ?


মূলত দুই ধরনের অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে বাজারে। একটা কনটিনিউয়াস ফ্লো, আর একটা পালস ডোজ। প্রথম যন্ত্রটি অনবরত অক্সিজেন সরবারহ করতে থাকে। তা সে রোগী অক্সিজেন নিক আর না নিক। যদিও পালস ডোজ টেকনোলজি একটু আলাদা। এ ক্ষেত্রে কেবল রোগীর শ্বাসবায়ু নেওয়ার সময় অক্সিজেন পাঠিয়ে থাকে কনসেনট্রেটর।