নয়া দিল্লি: কোভিড অতিমারীর মতো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল পিএম কেয়ার্স ফান্ড। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সেই তহবিল। প্রায় ১০ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা হয়েছে। যদিও পিএম কেয়ার্স ফান্ড-এর 'অডিট রিপোর্ট' জানাচ্ছে সেই টাকা থেকে খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। সোমবার তহবিলের ওয়েবসাইটে একটি অডিট স্টেটমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে। 


সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা এবং কোভিড ডোজের জন্য ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এদিকে এই তহবিলে বিদেশ থেকে এসেছে প্রায় ৪৯৪.৯১ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে তহবিলে মোট অর্থ ছিল ৩ হাজার ৭৬.৬২ কোটি টাকা। 


২০২০-এর মার্চে কোভিডের মোকাবিলায় পিএম-কেয়ার্স তহবিল তৈরি হয়েছিল। কোভিড প্রাদুর্ভাবের মতো জরুরী পরিস্থিতিতে অনুদান সংগ্রহের জন্য এই তহবিলটি শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর পদাধিকারবলে এই তহবিলেপ চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই তহবিলের অছি পরিষদের সদস্য রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী। এই তহবিলে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, ব্যাঙ্কের কর্মীদের বেতন কেটে টাকা জমা করা হয়েছিল। 


এর আগে তহবিলের কোনও হিসাব পরীক্ষা হয়নি। এই টাকার হিসেব চেয়ে বারংবার সরব হয়েছিলেন বিরোধিরা। কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, পিএম-কেয়ার্সের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনও সম্পর্ক না থাকলে তিনি কেন একটা বেসরকারি তহবিলে চাঁদা জোগাড়ের জন্য নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন? যদিও 'প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সহায়তা এবং জরুরী পরিস্থিতি তহবিল (পিএম কেয়ারস ফান্ড)'-এর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতি অনুসারে, এটি "সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তি/সংস্থার স্বেচ্ছায় অবদান নিয়ে গঠিত এবং কোনো বাজেট সহায়তা পায় না", এমনটাই জানান ছিল। মোদী সরকার বরাবরই যুক্তি দিয়েছে, পিএম- কেয়ার্স পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এ’টি কোনও সরকারি সংস্থা নয়। অথচ পিএম- কেয়ার্স তহবিল থেকে কোভিডের টিকা, চিকিৎসার ভেন্টিলেটর কেনা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরই বিবৃতি দিয়েছে।