পরোক্ষে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এমনিতেই একটা সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। আর সেই সময় আমাদের একটা সাইক্লোনের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে এই সাইক্লোন, তার ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লেগেছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর ওপর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উমফুন সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ তার যথাসাধ্য লড়াই করছে। এই কঠিন সময়ে গোটা দেশ আপনাদের পাশে রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ভাই-বোনেদের এই আশ্বাস দিচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গকে ১০০০ কোটি টাকা অগ্রিম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হবে। পুনর্বাসন, পুনর্নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়গুলি দেখা হবে। আমরা সবাই চাই, পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে যাক। কেন্দ্র এই অতি জরুরি সময়ে পশ্চিমবঙ্গের পাশে সবসময় থাকবে। বাংলা যাতে নিজের পায়ে আবার দাঁড়াতে পারে, তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করব আমরা।
উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লাখ টাকা ও মারাত্মক আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
এদিক আকাশপথে সফরে সকলে সামাজিক দূরত্ববিধি, ‘দো গজ কী দুরি’ নীতি বজায় রেখে, মাস্ক পরে সামিল হন।
গত পরশু বিকাল, সন্ধ্যায় আছড়ে পড়া উমপুনের তাণ্ডবে কলকাতা সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ হয়ে গিয়েছে, লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এর আগে উত্তর ও দক্ষিণ, দুই ২৪ পরগণা বিধ্বংসী সাইক্লোনের নজিরবিহীন আঘাতে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, বিরাট আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফরে আসেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সকাল দশটা পঞ্চাশে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকেই মোদির সঙ্গে হেলিকপ্টারে করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাক পরিদর্শনে বেরোন মমতা। তাঁদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কয়েকজন আধিকারিক।
অন্য দুটি হেলিকপ্টারের ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী, ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গি। তৃতীয় হেলিকপ্টারে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব। রাজারহাট হয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়, বাসন্তী, নামখানা, গোসাবা, পাথরপ্রতিমা হয়ে উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জের দুর্গত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বসিরহাট কলেজের মাঠে নামে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নামে পাশের একটি মাঠে।