নয়া দিল্লি : আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে ভারতের অবিলম্বে অগ্রাধিকার দিতে হবে যে বিষয়গুলিতে সেদিকে নজর দিন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের গ্রুপকে এই নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনই খবর সূত্রের।


গত কয়েকদিন ধরে আফগানিস্তান সংকট নিয়ে এই দলটি নিয়মিত বৈঠকে বসছে। সূত্র অনুযায়ী, এই গ্রুপটি আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা, আফগান নাগরিকদের বিশেষ করে ভারতে সংখ্যালঘুদের যাতায়াত এবং ভারতের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ভূখণ্ডকে যাতে কোনওভাবেই জঙ্গি-কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার না করা হয় তা নিশ্চিত করার বিষয়টি দেখছে।


আফগানিস্তানের সংকটজনক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ইএএম, এনএসএ এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের গ্রুপ ভারতের অগ্রাধিকারের বিষয়ে মনোনিবেশ করবে। এই গ্রুপটি আফগানিস্তানের প্রকৃত পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে আজ সকালে পাস হওয়া প্রস্তাবসহ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে নজর রাখছে বলে সূত্রের খবর। 


ভারতীয় সভাপতিত্বে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আফগানিস্তান সম্পর্কে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যাতে সদস্য দেশগুলি আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার গুরুত্ব এবং তালিবানদের প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলি উল্লেখ করেছে। রেজোলিউশনে আফগানিস্তান ছাড়তে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিরাপদে যেতে দিতে, মানবতাবাদীদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিতে এবং নারী ও শিশুসহ মানবাধিকার তুলে ধরার জন্য তালিবানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছিলেন, ভারত আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে।


ভারত কাবুল ও তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে থেকে ছয়টি পৃথক বিমানে ৫৫০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছ। এর মধ্যে ২৬০ জন ভারতীয়। নয়া দিল্লি অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমেও ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাজিকিস্তান, ইরান এবং অন্যান্যদের মতো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগও করছে ভারত।