নয়াদিল্লি: আজ বিজেপির সংসদীয় দলের সভায় মোদি (PM Modi) স্পষ্ট করলেন, 'দল যতো বেশি সফল হবে, বিরোধীদের (Oppositation) আক্রমণ তত বেশি হবে।' দলীয় নেতাদের 'শক্তিশালী লড়াইয়ের' জন্য প্রস্তুত থাকতে বার্তা নরেন্দ্র মোদির।
মূলত এদিন সকালে সংসদ চত্বরে বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠক হয়। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে তিনটি বড়সড় জয়ের জন্য,তাঁর নের্তৃত্ব পেয়ে বিজেপি সংসাদরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে বৈঠক শুরু করেছিলেন। ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে যেখানে তাঁদের জোট সরকার রয়েছে, সেখানে দলের জয়ের জন্য , দলীয় নেতারা মোদিকে সংবর্ধনা দেন।
সূত্র মারফত খবর, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'বিজেপির যত বেশি সাফল্যের স্বাদ পেতে শুরু করবে এবং শিখরে পৌঁছবে, ততই অন্যদিক থেকে আক্রমণ বাড়বে। তাই শক্তিশালী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।' এদিকে একদিকে যখন বিরোধীরা আদানি ইস্যুতে জেপিসি (JPC) দাবি করে চলেছে,সংসদে অচলাবস্থা থাকাকালীন এমনই একটি সময়েই মন্তব্য মোদির। প্রধানমন্ত্রীকে 'অপমান' করার জন্য রাহুল গাঁধীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে, 'প্রতিহিংসার' অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে সত্যাগ্রহের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। আর এই ইস্যুতেই তীব্র আক্রমণ শানিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, 'আমার বিরুদ্ধেও মামলা করুন। জেলে নিয়ে যান আমাকেও। কিন্তু আসল কথা হল দেশের প্রধানমন্ত্রী কাপুরুষ। ক্ষমতার আড়ালে মুখ লুকিয়ে রয়েছেন। অহঙ্কারে পরিপূর্ণ। আর অহঙ্কারী রাজাকে মুখের মতো জবাব দেওয়া এই দেশের বরাবরের সংস্কৃতি।'
অপরদিকে, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে কংগ্রেসের সঙ্কল্প সত্যাগ্রহের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে অনুমতি মেলেনি বলে প্রথমে দাবি জানিয়েছিল পুলিশ। যদিও কংগ্রেস সূত্রে খবর, এর আগে এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে অনুমতি না মিললেও রাজঘাটে সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ হবে বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়। এই ইস্যুতে প্রতিবাদে ট্যুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ ও দলের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
আরও পড়ুন, আজ সকালে বেলুড় মঠ পরিদর্শনে রাষ্ট্রপতি
তিনি লেখেন, 'সংসদে আমাদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার পর, সরকার আমাদের বাপুর সমাধিতেও শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ করতে দিতে অস্বীকার করেছে। বিরোধীদের প্রতিবাদে বাধা দেওয়া মোদি সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। সত্যের জন্য, স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।' ট্যুইটে লেখেন কংগ্রেস সাংসদ কে সি বেণুগোপাল।