বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: বদলে গেল নাম। রাজপথ (raj path) আজ থেকে কর্তব্য পথ (kartavyapath)। নামকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) বললেন, 'রাজপথ ছিল পরাধীনতার প্রতীক। কর্তব্যপথে হাঁটলে দেশই প্রথম, এই ভাবনা মনে আসবে।’


কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?
'ঔপনেবেশিকতার প্রতীক রাজপথ আজ থেকে ইতিহাস হয়ে গেল। কর্তব্য পথের মধ্য়ে দিয়ে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। এমন মুহূর্তে দেশের সমস্ত মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত রাজপথের নতুন নামকরণের পাশাপাশি এদিন নেতাজি মূর্তির উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে কর্তব্য পথের নামকরণ উপলক্ষ্যে একই সঙ্গে অনেকগুলি বার্তা দেন তিনি। বলেন, ‘রাজপথ ছিল পরাধীনতার প্রতীক। ব্রিটিশদের জন্য ছিল রাজপথ। তবে
রাজপথে স্থাপত্য বদলেছে, আত্মাও বদলেছে।‘ তাঁর মতে, ভবিষ্যতে কর্তব্য়ের রাস্তা দেখাবে কর্তব্য পথ। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘আগামী ২৬ জানুয়ারি কর্তব্য পথের শ্রমিকরা আমার বিশেষ অতিথি থাকবেন।‘ পাশাপাশি এও জানান, নতুন সংসদের নির্মাণের শ্রমিকদের বিশেষ গ্যালারিতে স্থান দেওয়া হবে। এদিন নেতাজির মূর্তি উদ্বোধনের পর নতুন ভাবে তৈরি সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভেনু-তে একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। চার দিকে সবুজ, সংস্কার করা খাল, প্রত্যেক রাজ্যের খাবারের স্টল এবং ভেন্ডিং কিয়স্ক দিয়ে নতুন করে সেজে উঠেছে কর্তব্য পথ। যদিও নতুন নামকরণ নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। 


বিতর্কের ইতিহাস...
গত ৬ সেপ্টেম্বর সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, নাম বদলানো হতে পারে রাজপথের। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ট্যুইটারে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লিখেছিলেন, 'এ সব কী হচ্ছে? ইতিহাস নতুন করে লেখার ঝোঁকে বিজেপি কি আমাদের সংস্কৃতি নতুন করে তৈরি করাটাকেই নিজেদের একমাত্র কর্তব্য বলে ঠিক করে নিয়েছে?' তৃণমূল সাংসদের এই ট্যুইটের পরই তুমুল হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। 



শোনা গিয়েছিল, ঔপনেবেশিক ভারতের সমস্ত চিহ্ন সরিয়ে ফেলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথাতেও কার্যত সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট। 


আরও পড়ুন:স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে; কর্তব্যপথের উদ্বোধনে বিস্ফোরক মোদি