কলকাতা: দলনেত্রীর (TMC Supremo) সামনেই বৃহস্পতিবার ফের বিজেপিকে (BJP) হুঙ্কার শ্রীরামপুরের (sreerampore) তৃণমূল (TMC) সাংসদ (MP) কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। নেতাজি ইনডোরে (netaji indoor) দাঁড়িয়ে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, 'বিজেপির কেউ হাত তুললে, হাত গুঁড়িয়ে দেবার ক্ষমতা রাখি।' তার পরে আবার সংযোজন, 'দিদি শান্ত থাকতে বলেছেন, তাই শান্ত আছি। কিন্তু হাত গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি'


ফের বিতর্কে কল্যাণ...
তৃণমূল সাংসদের মুখ থেকে এমন কথাবার্তা আগেও শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তবে এদিন যখন তিনি কথাগুলো বলছেন, তখন দলনেত্রী পাশে। মঞ্চে বসে। সেখানেই কল্যাণতে বলতে শোনা যায়,'দিদি ভাল করে থাকতে বলেছেন, তাই ভাল করে আছি। কিন্তু যদি কখনও কোনও দিন কোনও বিজেপির লোক বলে হাত ভেঙে দেব, হাত গুঁড়িয়ে দেব, তা হলে আমরাও বলে যাচ্ছি লড়াই করব। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী আমরা।' কার্যত একই ধরনের কথাবার্তার জন্য় আগেও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সমালোচনা বা বিতর্ক কোনও কিছুতেই যে তিনি আমল দেন না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়ে এদিন কল্যাণ আরও বলেন, 'আমি যা, আমি তাই। আমাকে ভাল  লাগুক, খারাপ লাগুক। আমি মাঠে ময়দানে থাকি, কর্মীদের সঙ্গে থাকি। আমার কর্মীদের গায়ে যদি হাত পড়ে, আমিও দেখে নেব। ছাড়ব না।'


নতুন নয়...
বিরোধীদের হুমকি-হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয় কল্যাণ বন্দোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবারও উত্তরপাড়ার সভা থেকে একই ভাষায় বিজেপি-সিপিএমকে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, '২০১১-২০২২ পর্যন্ত আমরা বলেছি, বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু আজ আমরা বলব। শুনে রাখো বিজেপি, শুনে রাখো সিপিএম-- যদি লাল চোখ দেখিয়েছো, যদি বলেছো হাত-পা ভেঙে দেব... হাত কাটবি কি? হাত তোলার সময় হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব। ...সীমার মধ্যে থাকুন, সীমাহীনদের কী ভাবে শায়েস্তা করতে হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত কর্মী জানেন।' গত মাসেও এক সুর শোনা গিয়েছিল তাঁর কথায়। সে বার  চুঁচুড়ার জনসভায় শ্রীরামপুরেক সাংসদ বলেছিলেন, 'বদলার বদলে বদলা চাই।' এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তার আগের মাসেই ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পর গরুপাচার কাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জোড়াফুল শিবিরের দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারি নিয়ে লাগাতার সুর চড়ায় বিরোধী শিবির। এসবের মধ্যেই হুঙ্কার দেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, 'আমাকে ক্ষমা করবেন মমতাদি, বলে ফেললাম। কিন্তু আপনি যে মানসিকতা নিয়ে বলেছিলেন, সেই মানসিকতার লোক বিরোধী শিবিরে নেই। আপনার অনেক বড় মানসিকতা। কিন্তু আজ বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম যে ভাবে নোংরামি করছে আমাদের সে দিনই বলা উচিত ছিল বদলার বদলে বদলা চাই।' প্রসঙ্গত একই মঞ্চ থেকে চুঁচুড়ার জোড়াফুল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বক্তব্য, 'কোথাও যদি কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসম্মান করেন পাল্টা জবাব দাও।' কেউ চোর বললে পাল্টা হবে, আরও সংযোজন তাঁর।


আরও পড়ুন:হংকং, ব্যাঙ্কক-সহ তাইল্যান্ডে ৩ সংস্থার হদিশ রাজু সাহানির, কোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-র