নয়াদিল্লি: ব্রিটিশ রাজশক্তির বন্দুক-বেয়নেটের সামনে, কত বীর-বিপ্লবীর আত্ম বলিদানে, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছিল ভারত। উড়েছিল তিরঙ্গা জয়ধ্বজা। স্বাধীনতার ৭৯ বর্ষপূর্তিতে উচ্ছ্বাসে ভাসছে ভারত। প্রথা মেনে এবারও ১৫ অগাস্ট লাল কেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দেশ তাঁর কাছে কী শুনতে চায়, তা তিনি জানতে চাইলেন দেশের মানুষের কাছেই। সকলের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধাণমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ প্রধানমন্ত্রী সকলকে নিজের ভাবনা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'এই বছরের স্বাধীনতা দিবস যত এগিয়ে আসছে, আমি আমার সহ-নাগরিকদের কাছ থেকে শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি! এই বছরের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আপনি কোন বিষয় বা ধারণা নিয়ে শুনতে চান ? MyGov এবং NaMo অ্যাপের ওপেন ফোরামে আপনার মতামত শেয়ার করুন... '
প্রতি বছরের মতো এবারও MyGov এবং NaMo অ্যাপের মাধ্যমে জনসাধারণ তাঁদের ভাবনা ভাগ করে নিতে পারবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এই উদ্যোগটি যদিও নতুন নয়। ২০১৪ সাল থেকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতি বারই ভারতের নাগরিকদের কাছে তাঁদের ভাবনা জানতে চান। MyGov.in এবং NaMo অ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের ভাবনা পৌঁছে দিতে পারবেন নাগরিকরা।
এই নিয়ে টানা ১২ বার স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন মোদি। তাঁর আগে শুধুমাত্র স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধী টানা এতগুলি বছর ধরে স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে বার্তা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। গত বছর, ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকালে প্রধানমন্ত্রী 'বিকশিত ভারত @২০৪৭' র স্বপ্নটি তুলে ধরেন। অর্থাৎ স্বাধীনতা অর্জনের শতবর্ষে ভারতকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়, সেই ভাবনাই তুলে ধরেন তিনি। দেন নির্দিষ্ট রোড-ম্যাপও। সেই সঙ্গে তাঁর ভাষণে বিশেষভাবে জায়গা পায় আত্মনির্ভর ভারত ও ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে নারীর ভূমিকার বিষয়টি।