ওয়াশিংটন: ভারত-মার্কিন কৌশলগত বোঝাপড়ার উন্নতি, ভারতের বিশ্বশক্তি হিসাবে উত্থানের পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বকে স্বীকৃতি আমেরিকার। মোদিকে লিজিয়ন অব মেরিট সম্মান দিল ওয়াশিংটন। এই ওজনদার খেতাবটি হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রীর তরফে মার্কিন জাতীয় উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়ানের হাত থেকে গ্রহণ করেছেন মার্কিন মুলুকে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরনজিত্ সিংহ সান্ধু।
পরে ট্যুইট করে ব্রায়ান লেখেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারত-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে তাঁর নেতৃত্বের জন্য লিজিয়ন অব মেরিট উপহার দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সর্বোচ্চ স্তরের লিজিয়ন অব মেরিটের চিফ কমান্ডার খেতাব দেওয়া হয়। মোদি এই পুরস্কার পেলেন তাঁর অবিচল নেতৃত্ব, দৃষ্টিভঙ্গির জন্য, যা ভারতের বিশ্বশক্তিতে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়ায় গতি এনেছে, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলির জবাবে আমেরিকা ও ভারতের কৌশলগত বোঝাপড়া জোরদার করেছে। ট্রাম্প মোদিকে দি লিজিয়ন অব মেরিট, ডিগ্রি চিফ কমান্ডার খেতাব অর্পণ করেন ভারতের নেতা হিসাবে ব্যতিক্রমী মেধাবী ভূমিকার জন্য। এটি আমেরিকার সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানগুলির অন্যতম, যা শুধুমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টই দেন কেবলমাত্র রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানদের।


ট্রাম্প যে লিজিয়ন অব মেরিট সম্মান অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ও প্রাক্তন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আাবেকেও দিয়েছেন, আরেকটি ট্যুইটে বলেছেন ওব্রায়েন। দুজনের হয়ে খেতাব নেন ওয়াশিংটন ডিসি-তে সেই সেই দেশের রাষ্ট্রদূতরা। আমেরিকাই সর্বশেষ রাষ্ট্র, যারা তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এছাড়াও গত চার বছরে আরও কয়েকটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন তিনি।


মোদি ট্যুইট করেছেন, তিনি এই পুরস্কার পেয়ে গভীর সম্মানিত বোধ করছেন। সেইসঙ্গে এই সম্মান দুটি দেশের মানুষের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়াসের স্বীকৃতি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দুটি দেশের সম্পর্ক জোরদার করায় তাঁর সরকারের স্পষ্ট দায়বদ্ধতার কথাও ফের জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও লেখেন, ২১ শতক একইসঙ্গে অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ-দুই-ই তুলে ধরছে। গোটা মানবসমাজের উপকারে আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব দেওয়ায় আমাদের জনগণের অভিনব শক্তির যে বিপুল ক্ষমতা আছে, তাকে কাজে লাগাতে পারে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর হয়ে আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক আরও চাঙ্গা করতে মার্কিন সরকার ও উভয় দেশেরই বাকি সব সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে আমার সরকারের দৃঢ় দায়বদ্ধতা ও বিশ্বাসের কথা পুনরায় উচ্চারণ করছি আমি।