নয়া দিল্লি: দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। ভারতের দায়িত্বভার তাঁরই কাঁধে। এহেন পরিস্থিতিতে আরও ঘুম কমিয়ে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, এমনটাই জানালেন মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান চন্দ্রকান্ত পাটিল। কোলহাপুর উত্তর বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে পদ্ম নেতা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি মাত্র দুই ঘন্টা ঘুমান এবং প্রতিদিন ২২ ঘন্টা কাজ করেন।"
বিজেপি নেতা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এও পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন যাতে তাঁকে ঘুমোতে না হয়।" চন্দ্রকান্ত পাটিল দাবি করেন, "প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য প্রতি মিনিট কাজ করে যেতে চান। তিনি ২৪ ঘণ্টাই জেগে থাকতে চাইছেন এবং দেশের কাজ করে যেতে হবে।" বিজেপি নেতা বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী খুব দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেন এবং দেশের যে কোনও দলে ঘটছে সে সম্পর্কে সচেতন।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গলায় হঠাৎই শোনা গেল ভারতকে নিয়ে প্রশংসার সুর। একটি ভিডিওতে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ম্যায় আজ হিন্দুস্তান কো দাদ দেতা হুন" (আজ, আমি ভারতকে স্যালুট জানাই)। ভারতের বিদেশ নীতি সবসময়ই একটি স্বাধীন চিন্তা রেখেছে।" শুধু তাই নয়, এটি জনগণের উন্নতির জন্য। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার সময় ইমরান খানের এই বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওই ভিডিওতে ইমরান খানকে বলতে শোনা যায়, "ভারত কোয়াড অ্যালায়েন্সের সদস্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অন্যতম সদস্য। কিন্তু ভারত এখনও নিজেকে নিরপেক্ষ বলে দাবি করে। নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে ভারত। এর কারণ হল ভারতের বিদেশ নীতি। এই নীতি সে দেশের জনগণের জন্যই।"
অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদির মুকুটে ফের নতুন পালক। গ্রহণযোগ্যতার বিচারে পৃথিবীর মধ্যে সেরার আসনে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বের ১৩ জন রাষ্ট্রনেতার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছেন মোদি। আমেরিকার সংস্থা মর্নিং কনসাল্ট (morning consult) যারা রাষ্ট্রনেতাদের গ্রহণযোগ্যতার সমীক্ষা করে থাকে, তারা এই সমীক্ষা করেছে। সপ্তাহে সপ্তাহে এই সমীক্ষার তথ্য নতুন করে নেওয়া হয়। এবার ৭৭ শতাংশ পেয়ে সবার প্রথমে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। পিছনে ফেলেছেন একাধিক রাষ্ট্রনেতাকে।