নয়া দিল্লি : জালিয়ানওয়ালাবাগের সংস্কার হওয়া কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পঞ্জাবের অমৃতসরে অবস্থিত এই স্মৃতিসৌধটি নতুন রূপ নিয়েছে। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্য়মে তারই উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, অমৃতসরের এই স্মৃতিসৌধে নির্মিত মিউজিয়াম গ্যালারিরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়াল এই ইভেন্টে দেখানো হবে সরকার এই স্মৃতিসৌধের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
পিএমও-র তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, পঞ্জাবের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যরা এবং জালিয়ানওয়ালাবাগ ন্যাশনাল মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার ১০২ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বছরের ১৩ এপ্রিল সংস্কার হওয়া স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।
জালিয়ানওয়ালাবাগ স্মৃতিসৌধের সংস্কার হওয়া কমপ্লেক্সের মূল বৈশিষ্ট্য:
অপ্রয়োজনীয় এবং অব্যবহৃত ভবনগুলিকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তুলে চারটি জাদুঘর গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে। গ্যালারিগুলি সেই সময়কালে পঞ্জাবে ঘটে যাওয়া ঘটনার ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে। প্রোজেকশন ম্যাপিং এবং ৩ডি উপস্থাপনা সহ অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রযুক্তির সংমিশ্রণ, সেইসঙ্গে শিল্প এবং ভাস্কর্য উপস্থাপন করা হয়েছে এখানে।
১৩ এপ্রিল, ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ বাহিনী প্রতিবাদকারীদের একটি বিশাল ও শান্তিপূর্ণ জমায়েতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। সেই ঘটনার কথা শব্দ ও আলোর প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। ওই ঘটনায় এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিলেন।
শহিদ কুয়োটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে। সেটিকে একটি সুপারস্ট্রাকচারে পরিণত করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লেম মনুমেন্টটিকেও পুনরায় উদ্ধার করা হয়েছে, হয়েছে পুনর্নির্মাণ। জলাশয়টিকে একটি লিলি ফুলের পুকুর হিসাবে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট জায়গাকে আরও প্রশস্ত করা হয়েছে।