BIMSTEC Summit : ঢাকায় পালাবদলের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ইউনূসের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ মোদির

Bangladesh Issue: BIMSTEC সম্মেলনের সাইডলাইনে এনিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানাল বিদেশ মন্ত্রক।

Continues below advertisement

ব্যাংকক : হিন্দু-সহ বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে। BIMSTEC সম্মেলনের সাইডলাইনে এনিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানাল বিদেশ মন্ত্রক।

Continues below advertisement

বৈঠকে এনিয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে জানিয়েছেন, "পারস্পরিক সম্মান ও সংবেদনশীলতা" বজায় রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক চায় ভারত। এনিয়ে পরে এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক এবং মানব-কেন্দ্রিক সম্পর্ক রাখতে চায়। বাংলাদেশে শান্তি, স্থায়িত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় ভারতের সমর্থনের কথা জানিয়েছি। বেআইনিভাবে সীমান্ত পারাপার রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।"

 

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন নরেন্দ্র মোদি ও মহম্মদ ইউনূস। তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সারলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ঢাকায় পালাবদলের পর ভারত ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এটাই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তাইল্যান্ডে ষষ্ঠ BIMSTEC সম্মেলনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসতে চান ইউনূস। ঢাকার তরফে এই প্রস্তাব আগেই পৌঁছেছিল দিল্লিতে। তখন সংসদীয় বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিষয়টি ভারত সরকার বিবেচনা করে দেখছে। এরপর তাইল্যান্ডের সম্মেলনে পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানকে। শেষ পর্যন্ত একান্ত বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ইউনূস জমানায় ভারত-বিদ্বেষ চরম চেহারা নিয়েছে বাংলাদেশে। ইতিহাস ভুলে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য বাড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক সিদ্ধান্তও নিয়েছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। এই আবহে আজকের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল কূটনৈতিক মহল। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও এই বৈঠক নিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ইউনূস প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছেন, বাংলাদেশ "ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গভীর মূল্য দেয়।"

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola