নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) তীব্র আক্রমণ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভাদরার (Priyanka Gandhi Vadra)। রাজঘাটে কংগ্রেস সংকল্প সত্যাগ্রহ মঞ্চে বললেন, ''আদানি কে? যাকে রক্ষা করতে আসরে নেমেছে গোটা সরকার? আদানিকে কেন সরকারি সম্পত্তি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে?'
আর কী বললেন?
প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, 'প্রধানমন্ত্রীকে রাহুল শুধু এই প্রশ্নটাই করেছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিতু। ক্ষমতার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছেন।' এতেই থামেননি সনিয়া-কন্যা। তাঁর সরাসরি হুঙ্কার, 'আমার বিরুদ্ধেও মামলা করুন, জেলে ভরে দিন।' তাঁর মতে, 'দেশের প্রধানমন্ত্রী অহংকারী। হিন্দু ধর্মের পুরনো পরম্পরা অনুযায়ী দেশের মানুষই তাঁকে জবাব দেবেন।'
ট্যুইটারে চমক রাহুলের...
সাংসদ পদ খারিজের পর, নিজের ট্যুইটার পরিচিতি পাল্টালেন রাহুল। ট্যুইটারের বায়োতে লিখলেন 'ডিসকোয়ালিফায়েড এমপি'। রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে ইতিমধ্যেই 'প্রতিহিংসার' অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে সত্যাগ্রহের ডাক কংগ্রেসের। রাজঘাটে কংগ্রেসের সংকল্প সত্যাগ্রহ নিয়ে টানাপোড়েন। প্রথমে অনুমতি না দিলেও পরে অনুমতি দেয় পুলিশ, দাবি কংগ্রেসের। রাজঘাটে মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। এদিকে এদিনই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে কংগ্রেসের সঙ্কল্প সত্যাগ্রহের অনুমতি দিল না পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে অনুমতি মেলেনি বলে পুলিশের দাবি। যদিও কংগ্রেস সূত্রে খবর, এর আগে এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে অনুমতি না মিললেও রাজঘাটে সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ হবে বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে। এই ইস্যুতে প্রতিবাদে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও দলের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্য় করেছিলেন রাহুল গাঁধী। তিনি বলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি মোদি কেন। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলার রায় ঘোষণার জন্য়, বৃহস্পতিবার সকালেই গুজরাতের সুরাত আদালতে পৌঁছান রাহুল। লন্ডনে ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে কার্যত সংসদ অচল করে রেখেছে বিজেপি শিবির। ভারত জোড়ো যাত্রায়, নারী নির্যাতন নিয়ে মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে তথ্য জানতে, সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার পুরনো মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে তাঁকে সাজা শোনায় গুজরাতের আদালত। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। এর মধ্যেই সুর চড়িয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।