নয়াদিল্লি : সংবিধান নিয়ে সংসদে আলোচনায় কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে। দেশে জরুরি অবস্থা ও শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "ওঁরা একবার রক্তের স্বাদ পেয়েছিলেন, তাই বারবার এটা করতে চান।" এমনকী তাঁর অভিযোগ, জহরলাল নেহরু সংবিধানের অপব্যবহার করেছিলেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বহু আগে রক্তের স্বাদ পাওয়ার পর, গান্ধী পরিবারের বর্তমান প্রজন্মও সংবিধানকে নিশানা করার ধারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।" লোকসভায় তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধী সাংসদরা। যদিও আক্রমণ জারি রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কংগ্রেস নিজেদেরই সংবিধান অনুসরণ করে না। স্টেট ইউনিট যখন সর্দার পটেলকে সমর্থন জানিয়েছিল, তখন নেহরুকে নেতা বেছে নেওয়া হয়েছিল।"  


তীব্র আক্রমণ করেন ইন্দিরা গান্ধীকে। তিনি বলেন, "এমনকী ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন তিনি নিজের চেয়ার বাঁচাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। উনি সংবিধানের অপব্যবহার করেছিলেন। এটা ছিল একটা অবিচারের সময়। শয়ে শয়ে মানুষকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অসংবেদনশীল সরকার মানুষের কথা শোনেনি।" এরপর বিঁধতে ভোলেনি রাজীব গান্ধীকেও। শাহো বানো মামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "ন্যায়ের দাবিতে লড়াই করা এক মহিলাকে সাহায্য করার পরিবর্তে, উনি (রাজীব গান্ধী) খারাপ লোকেদের সাহায্য করেছিলেন। নেহরুজি এটা শুরু করেছিলেন, ইন্দিরাজি এটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তারপর রাজীব গান্ধীও এর স্বাদ পান। পরের প্রজন্মও তাই হবে।"


বিরোধীদের একহাত নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "সংবিধান নিয়ে ভাল আলোচনা হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু কেউ কেউ তাঁদের হার নিয়ে শোকপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা সংবিধানের ৭৫ বছর পূরণ করতে চলেছি। যদি আমরা পিছন ফিরে তাকাই, যখন সংবিধান ২৫ বছর পূরণ করে, জরুরি অবস্থা জারি করে এটা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং ভারতকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল । নাগরিকদের অধিকার ছিনতাই করা হয়। এই পাপ মুছতে পারবে না কংগ্রেস। সংবিধান নিয়ে যখনই আলোচনা হবে, আমরা সবসময় জরুরি অবস্থার কথা তুলে ধরব।" ইন্দিরা গান্ধী সংবিধানে বিশ্বাস করতেন না বলেও তাঁর অভিযোগ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।