নয়াদিল্লি: 'দুর্নীতিতে (corruption) ডুবে থাকা সকলে এখন ধীরে ধীরে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে পড়ছেন', দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে (BJP Head Quarters) এক অনুষ্ঠানে বিরোধীদের উদ্দেশে পাল্টা সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। দুর্নীতি-দমন প্রশ্নে তাঁর সরকার কী ভাবে তৎপরতা দেখিয়েছে, মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে সেই কথাই বলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, 'কংগ্রেস আমলে পিএমএলএ-র আওতায় মোটে ৫ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপির আমলে ১০ লক্ষ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছে।'


'দুর্নীতি' ও 'পরিবারতন্ত্র'...
মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির পাশাপাশি পরিবারতন্ত্রের অভিযোগও ফের শানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, 'পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ, সব জায়গাতেই পরিবারতান্ত্রিক দলগুলির মাঝে বিজেপিই একমাত্র সর্বভারতীয় দল। মাত্র ২টি আসন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন আমরা ৩০৩টি আসনে পৌঁছেছি।' এর পরই দুর্নীতি প্রশ্নে সরব হতে শোনা যায় তাঁকে। বলেন, 'ভারতের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই দেশকে আটকানোর জন্য, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমণ চলছে। বিশেষত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি কোনও পদক্ষেপ করলেই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হচ্ছে।' প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'কেউ কেউ আবার ভ্রষ্টাচারি বাঁচাও অভিযানও করছেন।' ঠিক কার উদ্দেশে এই বার্তা, সেটি খোলাখুলি বলেননি মোদি। তবে এই মুহূর্তে রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে তোলপাড় করছে কংগ্রেস। দিনতিনেক আগেও দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এই শহরের ভবানীপুর, ধর্মতলা থেকে বউবাজারে বিক্ষোভ হয়। রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদ। গত কাল বিকেল পর্যন্ত লোকসভা, দুপুর পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করা হয়। তার আগে, সকালে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকে সামিল হয় তৃণমূল কংগ্রেসও। বৈঠকে যোগ দেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর সরকার। পরে কালো পোশাকে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান  কংগ্রেস সাংসদরা যেখানে হাজির ছিলেন সনিয়া গাঁধীও। তার উপর মোদি সরকারের  বিরুদ্ধে আগামীকাল ও পরশু ধর্না দেওয়ার কথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় স্পষ্ট  তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছে রাজনৈতিক মহল।


আর কী?
মোদি এদিন বলেন, 'গত সাত দশকে প্রথম বার এত কিছু হচ্ছে। কিছু মানুষ তো এতে অসন্তুষ্ট হবেনই। রাগও হবে তাঁদের। তবে তাঁরা যতই পাল্টা ভুয়ো অভিযোগ আনুন, দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে অভিযান থামবে না।' একই সঙ্গে দলের সম্পর্কেও অত্যন্ত প্রত্যয়ী বার্তা দেন তিনি। বলেন, 'কোটি কোটি দলীয় কর্মীদের চরণে আমার প্রণাম। যাঁরা এই দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁদেরও শ্রদ্ধা জানাই।' বিজেপিই একমাত্র ভবিষ্যতের কথা ভেবে এগিয়ে চলে, সে কথাও মনে করান মোদি।


আরও পড়ুন:আদালতে জটমুক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন, সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কমিশন