নয়া দিল্লি: ব্রিকস সম্মেলন সেরে শনিবার দেশে ফিরেই ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীদের (Scientist) সঙ্গে দেখা করতে কর্নাটকে যান প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজনৈতিক (Political) সৌজন্য বাদে প্রশাসনিক প্রোটোকল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি যখন কোনও রাজ্যে যান, তখন রাজ্যের প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক প্রধান বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এদিন সেই প্রোটোকলে 'অনুপস্থিত' ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দিরামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবাকুমার। 


যদিও কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রোটোকোল লঙ্ঘন করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা করতে আসতে 'মৌখিকভাবে' বাধা দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইটে বলেন, 'মোদি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে স্পষ্টতই বিরক্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আসার আগে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সে রাজ্যের তরফে সম্মানিত করা হয়েছিল। তাই তিনি প্রোটোকলের বাইরে গিয়ে এ কাজ করেন। এটা তুচ্ছ রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।' 


যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও 'রাজনৈতিক' মন্তব্য করেননি নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানতাম না আমি কখন বেঙ্গালুরুতে এসে পৌঁছব। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে আমাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তড়িঘড়ি না আসার জন্য অনুরোধ করেছিলাম।"


মোদি এও বলেন, “আমি নিজেই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে বলেছিলাম যে তারা যেন না আসে কারণ আমি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার পরে চলে যাব। আমি নিজেই তাঁদের প্রোটোকল পূরণ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কারণ আমি জানতাম না কখন আমি বেঙ্গালুরু পৌঁছব।”


আরও পড়ুন, ২৩ অগাস্ট চাঁদ ছোঁয়ার দিন এখন থেকে জাতীয় মহাকাশ দিবস, ISRO-য় ঘোষণা মোদির


উল্লেখ্য, চন্দ্রযান-৩ যেদিন চাঁদের মাটি স্পর্শ করে, সেদিন দেশে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। বুধবার জোহানেসবার্গ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভারত উদয়ের সাক্ষী হন তিনি। দু’দেশের সফর শেষে শনিবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর তৃতীয় চন্দ্রযানের সাফল্যের নেপথ্যে থাকা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইসরোর কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। 



ইসরো-র টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক মিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্সে পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। চন্দ্রযান ৩-এর নেপথ্যের কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন মোদি। অভিযানের সাফল্যকাহিনি নিয়ে কথা বলার সময় আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েছিলেন মোদী।