নয়াদিল্লি : পালি ভাষার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে উদ্যোগ নেবে মোদি সরকার। একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা আজ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সংরক্ষণ করা হবে পবিত্র বই এবং বুদ্ধের বিভিন্ন শিক্ষার কথা।


আজ ঐতিহাসিক অভিধর্ম দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পালি সেই ভাষা যাতে বুদ্ধের শিক্ষা ধরা আছে। এই ভাষাকে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। একটা ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, এটা একটা সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আত্মা। পালিকে এবং এর মাধ্যমে বুদ্ধর বার্তাকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব।" 


International Abhidhamma Divas উদযাপন এবং পালিকে ধ্রুপদি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার আনন্দে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, 'যদিও সাম্প্রতিককালে ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু, একটি ভাষা, সাহিত্য, কলা ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। যা তার পরিচয়। তাই, ভারত সরকার পালি ভাষার সংরক্ষণ ও প্রচার করবে।'


সংস্কৃতি মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে ও ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশনের পৌরহিত্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি মন্তব্য করেন, "স্বাধীনতার আগে শতাব্দীব্যাপী ঔপনিবেশিক শাসনে এবং আক্রমণকারীরা ভারতের পরিচয় মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং যারা 'দাসত্বের মানসিকতা' রাখে তারা তা স্বাধীনতার পরেও চেষ্টা করেছিল। সেই সময়কার সিস্টেম ভারতকে তার সংস্কৃতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। অনেক পিছনে পড়ে যায় ভারত। এখন ভারত সরকার সব চেষ্টা করছে যাতে ভারতের বুদ্ধ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। গত কয়েক বছরে, আমরা ৬০০-র বেশি প্রত্নবস্তু ভারতে ফিরিয়ে এনেছি। যার অধিকাংশই বৌদ্ধ জিনিস। আমরা অ্যাপ, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে পালির প্রচার করার চেষ্টা করছি। পালি বোঝার জন্য শিক্ষাগত ও আধ্যাত্মিকগত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বৌদ্ধ ধর্ম বোঝার জন্য মানুষ গাইড করা উচিত পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদদের। "


এদিন বক্তব্য রাখার সময় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, 'Abhidhamma Divas যে শুধুমাত্র বৌদ্ধ ধর্মের মানুষের কাছেই তাৎপর্যপূর্ণ দিন তা নয়, সমগ্র মানবতার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজকের দিনটা শান্তি, সমৃদ্ধি ও সংহতিতে জীবনে বাঁচার তাৎপর্য বহন করে।' এর পাশাপাশি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই পালির মতো পুরনো ভাষা স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানান তিনি। বুদ্ধর সময়ে ব্যবহার হওয়া এই ভাষা ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা পেয়েছে।