নয়াদিল্লি: জনসংযোগে জোর ( Focus On Public Meeting)। জেলায় জেলায় সমাবেশ। রাজধানীতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের (BJP National Executive Party Meeting) শেষ দিনে দলীয় কর্মী ও নেতাদের এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।


যা বললেন...
চলতি বছরে ৯ রাজ্যে ভোট। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ওই ৯ রাজ্যের প্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের বলেছেন, প্রান্তিক ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষদের মূলস্রোতে নিয়ে আসতে হবে।' 
ফড়নবীসের কথায়, বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের সেরা সময় আসছে। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মোদির তাই বার্তা, এই সুবর্ণ সময়ের পুরোটা কাজে লাগাতে হবে। 


সাধারণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে...
আসে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথাও। দলীয় কর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী টিপস, সাধারণ মানুষকে সুশাসন ও অপশাসনের ফারাক বোঝাতে হবে। দেশের যুবসমাজকে আরও সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি, একথাও জানাতে হবে যে দুর্নীতি-সহ একাধিক কুচর্চা, যা আগের সরকারের আমলে রমরমিয়ে চলত তাতে ইতি টেনেছে বিজেপি সরকার। তবে তিনি যে বিরোধীদের মোটেও দুর্বল ভাবেন না, দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সে কথাও বলেন মোদি। তাঁর মতে, প্রত্যেককে নিজের ভূমিকা পালন করতে হবে। মোদির মতে, বিজেপি এখন শুধু কোনও দল নয়, কার্যত সামাজিক আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। তাই দেশের প্রত্যেক প্রান্তের নেতাদের কাছে তাঁর আর্জি, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। বিশেষত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে কার্যকলাপ বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলেন তিনি।  বৈঠকের শেষ দিনে বিজেপির প্রত্যেক কর্মী ও নেতার কাছে তাঁর আর্জি একটাই। সাধারণ মানুষ কাছে পৌঁছতে হবে। প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় সমাবেশ করতে হবে।


প্রথম দিনে বাংলার প্রসঙ্গ...
গত কাল থেকেই দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই তাতে বাংলায় 'হিংসার' প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, তিনি বলেন 'যেভাবে বাংলায় বিজেপি কর্মীরা লড়াই করছেন, তা প্রশংসনীয়'। লড়াই চলবে, এই বার্তাও দেন ওই বৈঠকে। ফলে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক স্তরে খুব বেশি বদলের কথা যে ভাবা হচ্ছে না, সে রকম একটা ইঙ্গিত ছিলই। আজ সেই ইঙ্গিতে সিলমোহরও পড়ে যায়। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ বাড়ে জে পি নাড্ডার।


আরও পড়ুন:'ছাত্রদের মধ্যে ভারতবিরোধী মানসিকতা তৈরির চেষ্টা', 'আজাদ কাশ্মীর' ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ