নয়া দিল্লি: করোনা আবহে প্রথমবার আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মার্কিন সফর। তিনদিনের সফরে মার্কিন মুলুকে মূলত তিনটি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। 


শুক্রবার বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। আফগানিস্তানের পাশাপাশি মোদি-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় গুরুত্ব পেতে চলেছে সন্ত্রাসবাদ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস, নিরাপত্তা, বাণিজ্য-সহ বিভিন্ন বিষয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। 


এরপর হোয়াইট হাউসে কোয়াডের চর্তুদেশীয় বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। বাইডেন ও মোদি ছাড়াও এই বৈঠকে থাকবেন জাপান ও অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। শনিবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনেও বক্তৃতা দেবেন নরেন্দ্র মোদি। ওই দিনই তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।  চলতি বছরের মার্চে ‘কোয়াড’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির প্রথম বৈঠক, এপ্রিলে জলবায়ু সম্মেলন বা জুনে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের সম্মেলনেও দুই নেতার ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। 


করোনাকালের আগে ২০১৯ সালে বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমেরিকার হিউস্টনে গিয়েছিলেন মোদী। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবার। আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে আলোচনা হতে পারে এমনটাই খবর বিদেশমন্ত্রক সূত্রে। হাউডি মোদি অনুষ্ঠানে শত-শত আমেরিকান ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের সামনে মোদি বলেছিলেন 'আব কি বার ট্রাম্প সরকার'। তারপর হোয়াইট হাউসে এসেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন ক্ষমতা আসার পর মোদির সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাত হয়নি তাঁর। এর আগে তিনবার ভার্চুয়াল সাক্ষাৎ হয় দুজনের। মার্চে কোয়াড সম্মেলন, এপ্রিল জলবায়ু পরিবর্তন এবং জুনে জি-৭ গোষ্ঠীর মিটে। 


আফগানিস্তান নিয়ে অবস্থান প্রসঙ্গে ঘরে-বাইরে সমালোচিত হয়েছেন বাইডেন। তালিবানি শাসন চিন্তা বাড়াচ্ছে নয়া দিল্লিরও। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফর বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। 


সম্প্রতি নিজের ৭১তম জন্মদিনে মোদি জানান, "আমাদের অনেক কিছু করার আছে। আমরা একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারতের স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না। ভারতের জন্য আমাদের স্বাধীনতা যোদ্ধারা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছে। জয় হিন্দ।"