অশান্ত নেপালের হাল ধরলেন সুশীলা কারকি। নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। সুশীলা কারকি ছিলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল।
প্রতিবেশী দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন তাঁর প্রতিক্রিয়া । নেপালের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকিকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখলেন, ভারত নেপালের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ লেখেন, ‘নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য মাননীয় সুশীলা কারকি জিকে আন্তরিক অভিনন্দন। নেপালের ভাইবোনদের শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য ভারত সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ প্রধানমন্ত্রী মোদি নেপালি ভাষায় টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সুশীলা কারকিকে ভারত-বন্ধু হিসেবেই দেখছে কূটনীতিকমহল। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে সুশীলা কারকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা শোনা গিয়েছে। শুক্রবার রাতে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। ১৯৫২-র ৭ জুন বিরাটনগরে জন্ম। ভারতের সঙ্গেও সুশীলা কারকির বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭৫ সালে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। ১৯৭৯ সালে আইন নিয়ে পড়াশুনো সুশীলা কারকির। নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন সুশীলা কারকি। দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক হাইপ্রোফাইল মামলায় তিনি উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছেন। তাঁর রায়ে দুর্নীতির অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত হয়েছিলেন নেপালের প্রাক্তন মন্ত্রী জয়প্রকাশ গুপ্তা। এবার তিনিই নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন!
নেপালে এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ৬ মাস। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে ২০২৬-এর ৫ মার্চ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। নেপালকে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বলে উল্লেখ করে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে অন্তর্বর্তী সরকার সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।