নয়াদিল্লি : অপারেশন সিঁদুরের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন। বাদল অধিবেশনের সূচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে 'অপারেশন সিঁদুর'-এর ভূয়সী প্রশংসা। সেই সঙ্গে যেভাবে ভারতের সংসদীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে, তার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বললেন, অপারেশন সিঁদুরের পর দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছে। এবার সাংসদদের মধ্যে সেই ঐক্যের ছবিটাই দেখতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী।   বাদল অধিবেশনের শুরুতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুর ১০০ শতাংশ সফল। ভারতীয় সেনার ক্ষমতা, বীরত্ব দেখেছে তামাম বিশ্ব। এবার সংসদের নেতাদেরও ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের বাদল অধিবেশনটি বিজয়ের উদযাপন। সারা বিশ্ব ভারতের সামরিক শক্তির ক্ষমতা  দেখেছে। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী যে লক্ষ্য সামনে রেখেছিল, তা ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবাদী নেতাদের দুর্গ।   ২২ মিনিটের গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি ঘাঁটিগুলি। তিনি আরও বলেন, পহেলগাঁওয়ে নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলা, গণহত্যা সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তখন দলীয় স্বার্থকে সরিয়ে রেখে , দেশের স্বার্থে, সংসদ থেকে বেশিরভাগ দলের প্রতিনিধিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন, একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। "দেশ ঐক্যের শক্তি দেখেছে। তাই সংসদের সব সাংসদ, এই ঐক্যকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং আমি অবশ্যই বলব যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব অ্যাজেন্ডা আছে, নিজস্ব ভূমিকা আছে, কিন্তু আমি এই বাস্তবতা মেনে নিচ্ছি...দলের মত নাই মিলতে পারে, তবে দেশহিতে সবার মন যেন মেলে। "

এবার বাদল অধিবেশনে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলতে পারে বিরোধীরা। বৈসরণ ভ্যালির মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে কীভাবে সন্ত্রাসবাদীরা নির্বিঘ্নে পর্যটকদের খুন করল এতক্ষণ ধরে, কোথায় ছিল নিরাপত্তা, কেন গোয়েন্দাদের কাছে আগাম খবর এল না, ইত্যাদি প্রশ্ন তুলতে পারে কংগ্রেস।