নয়াদিল্লি: কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে বিজেপি শিবিরে। কিন্তু সেই ছাপ পড়েনি নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায়। এমনটাই উঠে এল একটি সমীক্ষার ফলে। সারা দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এক নম্বরেই রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। অবশ্য ভাল খবর রয়েছে রাহুল গাঁধীর জন্য়ও। তার জনপ্রিয়তায় জোয়ার এসেছে। তাঁর অ্যাপ্রুভাল রেটিং লাফিয়ে বেড়েছে ১৫ শতাংশ। ভারত জোড়ো যাত্রার পরেই এমন ঊর্ধ্বগতি হয়েছে রাহুলের জনপ্রিয়তায়। 


কী কী রয়েছে এই সমীক্ষায়?
১০ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ১৯টি রাজ্যে এই সমীক্ষা হয়েছে। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ জানিয়েছেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জিতে ফের ক্ষমতা আসা উচিত। যদিও এই দাবি সঙ্গে সহমত নন ৩৮ শতাংশ।


উত্তরদাতাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ জানিয়েছেন, যদি এখনই নির্বাচন হয় তাহলে নরেন্দ্র মোদিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁদের প্রথম পছন্দ। অনেকটাই পিছিয়ে রাহুল গাঁধী। ২৭ শতাংশ উত্তরদাতার সমর্থন পেয়েছেন তিনি।


কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও মোদির জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিজেপির ভোট শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসেরও ভোট শতাংশ বেড়েছে, সেটা প্রায় ১০ শতাংশ।


নরেন্দ্র মোদি এবং রাহুল গাঁধীকে বাদ দিলে আরও কিছু নামও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীত্বের নাম হিসেবে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (দুজনেই ৪ শতাংশ করে সমর্থন পেয়েছেন), অখিলেশ যাদব, নীতিশ কুমার রয়েছে। যদিও তাঁরা শতাংশের বিচারে অনেকটাই পিছনে।


নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে রয়েছে বেশ কিছু বিষয়। তাঁর বাগ্মীতা অনেকের প্রিয়। পাশাপাশি একটি বড় অংশ মোদির জমানায় উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন। মোদির আমলে নেওয়া নীতির বিষয়েও অনেকে সমর্থন করেছেন।


কারা করেছেন এই সমীক্ষা:
এনডিটিভি (NDTV) এবং  Lokniti-Centre for the Study of Developing Societies (CSDS) যুগ্মভাবে এই সমীক্ষা করেছে। ১৯টি রাজ্যে ৭১টি নির্বাচনী ক্ষেত্রে এই সমীক্ষা হয়েছে। মোট ৭২০২ জনের থেকে উত্তর নেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: জিমেলে স্টোরেজে সমস্যা? মেল ঢুকছে না? চটজলদি কী করবেন?