কলকাতা: এখন  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যেমন প্রয়োজন। তেমনই প্রয়োজন ইমেল অ্যাকাউন্টও (Email Account)। কলেজে আবেদন করা থেকে শুরু করে, পড়াশোনা শেষে চাকরির আবেদন, ইমেল অ্যাকাউন্ট থাকতেই হবে। কারণ এখ ইমেলেই সব কাজ হয়। শুধু চাকরি কেন, ব্য়াঙ্কের কাজ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের যে কোনও কাজেই দরকার হয় ইমেল অ্যাকাউন্টের। ইয়াহু, রেডিফ মেলের মতো নানা সংস্থা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ভারতে ইমেল বলতে গুগল মেল বা জিমেল ব্যবহারই একচেটিয়া।


নানা কাজের জন্য অনবরত ইমেল আসতে থাকে। এখন নানা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের দৌলতে বিজ্ঞাপনমূলক মেলে ভর্তি হয়ে যায় জিমেল অ্যাকাউন্ট। তার ভিড়ে খুঁজে পাওয়া যায় না কাজের তথ্য়। তাছাড়া, অপ্রয়োজনীয় ইমেলের কারণে ক্রমশ শেষ হতে থাকে জিমেল স্টোরেজ। 


কীভাবে ফাঁকা করবেন স্টোরেজ?
গুগল জিমেল (Gmail) ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে সামান্য কিছু স্টোরেজ দেয়। ওই  ১৫ জিবি শেষ হয়ে গেলে স্টোরেজ কিনতে হয়। তা বেশ খরচসাপেক্ষ। তাই খুব প্রয়োজন না হলে সেটা কেউ কিনতে চান না। তাহলে উপায়? উপায় রয়েছে, সেটি হল জিমেল স্টোরেজ ফাঁকা করা।  


গুগল ড্রাইভে (Google Drive) অনেকে ছবি, নথি রেখে দেন। সেখান থেকে ফাইল সাইজ দেখে দেখে ফাইল ডিলিট করে দিতে পারেন। 
 
অপ্রয়োজনীয় মেল ডিলিট করে দিন। যে যে মেলের অ্যাটাচমেন্ট (Attachment) আর প্রয়োজন নেই, সেটা ডিলিট করে দিন। কীভাবে? মেল খুলে সার্চ বারে গিয়ে লিখুন, 'has:attachment larger:10M'- এটা লিখে সার্চ করলে ১০ এমবি-বেশি সাইজের যত অ্যাটাচমেন্ট রয়েছে তা দেখাবে, সেগুলো ধরে ডিলিট করে দিতে পারেন। এরপর ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকেও ডিলিট করুন সব। 10M-এর ১০ এর জায়গায় যে সংখ্যা লিখবেন, সেই সাইজের চেয়ে বড় অ্যাটাচমেন্ট রয়েছে এমন মেলের তালিকা খুলে যাবে।


স্প্যাম মেসেজেও (Spam Message) সমস্যা। জিমেল অ্যাকাউন্টে স্প্যাম ফোল্ডারে অনেক মেসেজ আসে। ওই ফোল্ডারে গিয়ে মেলের তালিকার উপরে একটি বক্স রয়েছে, সেখানে টিক করে, সব মেসেজ একসঙ্গে ডিলিট করলেই অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাবে স্টোরেজ। 


গুগল ফটোতে গিয়েও কিছু জায়গা বের করা যায়। https://photos.google.com/settings- এখানে যান। সেখানে নিয়ে নিজের গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন  করুন। এবার upload quality-তে Original এর বদলে High Quality অপশন বেছে নিন। এর পরে আগের আপলোড করা ছবিও হাই কোয়ালিটি ইমেজ হয়ে বেশ কিছুটা জায়গা বাঁচাবে। 

আরও পড়ুন: এখানেই শেষ ভাবলে ভুল হবে, পরবর্তী আতিমারি হবে আরও ভয়ঙ্কর, সতর্ক করল WHO