চেন্নাই: হাসপাতালে ভর্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi's Brother) ভাই প্রহ্লাদ মোদি (Prahlad Modi)। কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তিনি। চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। গুজরাতের আমদাবাদে মনিহারি দোকান চালান প্রহ্লাদ। এ ছাড়াও, টায়ারের শোরুম আছে তাঁর। মোদিরা মোট ছয় ভাই-বোন। প্রহ্লাদ প্রধানমন্ত্রীর থেকে বয়সে ছোটই (Prahlad Modi in Hospital)।
গুজরাতের আমদাবাদে মনিহারি দোকান চালান প্রহ্লাদ
সূত্রের খবর, আধ্যাত্মিকতার জগতে ডুব দিতে ভারতযাত্রায় বেরিয়েছিলেন প্রহ্লাদ। কন্যাকুমারী, মাদুরাই, রামেশ্বরমের মন্দির ঘুরে দেখেছেন পরিবারের সঙ্গে। কিডনির সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। আয়নমবক্কমের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তাঁকে। সেখানে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রহ্লাদ।
বিজেপি-র সমালোচনায় একাধিক বার সরব হয়েছেন প্রহ্লাদ। তাঁর মতে, দাদার নয়, দেশের সরকারি রীতিনীতির সমালোচক তিনি। গতবছর যন্তরমন্তরে ন্যায্য দামের দাবিতে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের আন্দোলনেও শামিল হন।
ভাই-বোন মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীরা মোট ছ'জন, সোমা মোদি, অমৃত মোদি, পঙ্কজ মোদি, প্রহ্লাদ মোদি, বাসন্তি মোদি। সোমা মোদি প্রধানমন্ত্রীর বড় দাদা। স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করতেন আগে। এখন অবসরজীবন কাটাচ্ছেন। আমদাবাদে একটি বৃদ্ধাশ্রমও চালান তিনি। ভাই প্রধানমন্ত্রী হলেও জনসমক্ষে বা সংবাদমাধ্যমে সে ভাবে দেখা যায় না তাঁকে।
আরও পড়ুন: Manish Sisodia Update : সিবিআইয়ের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মণীশ
এর আগে, গত বছর ডিসেম্বরে কর্নাটকে দুর্ঘটনায় পড়েন প্রহ্লাদ। তাতে গুরুতর ভাবে জখম হন তিনি। আহত হন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। মহীশূরের কাছে বন্দিপুরায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ এসইউভি গাড়িটি। দুপুর ২টো নাগাদ রাস্তার ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়িতে ছিলেন প্রহ্লাদের স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ, পৌত্র। তাঁরাও আহত হন।
গত বছর ডিসেম্বরে কর্নাটকে দুর্ঘটনায় পড়েন প্রহ্লাদ
সেই ঘটনায় মহীশূর থানায় এফআইআর দায়ের হয়। চালকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয় তাতে। গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছিল, তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারায় বলেও অভিযোগে বলা হয়। সেই দুর্ঘটনায় থুতনিতে চোট পান প্রহ্লাদ। তাঁর পুত্রবধূ জিনাল মোদি এবং ছ'বছরের পৌত্র মেনত মেহুল মোদির শরীরেও চোট লাগে।
এফআইআরে যেহেতু চালককেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্তও। গাড়ির চালকও দুর্ঘটনায় জখম হয়েছিলেন। তদন্তের রিপোর্টেও দুর্ঘটনার দায় চাপে ওই চালকের কাঁধেই। তাঁর গাফিলতির জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।