নয়া দিল্লি: অনাস্থা প্রস্তাব, মণিপুর ইস্যু (Manipur Issue) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আজ ভাষণ দেওয়ার কথা। সেই মতো এদিন সংসদে বক্তব্য পেশ করেন নরেন্দ্র মোদি। বক্তব্যর শুরুতে অবশ্য মোদির মুখে ছিল বিরোধী নিশানা তির। 


এদিন বিরোধীদের বিঁধে তিনি বলেন, 'বিরোধীদের যাঁদের খারাপ চান, তাঁদের ভাল হয়, এর উদাহরণ আমি নিজেই। ওদের পর নিশ্চয়ই কোনও বরদান আছে। আরও উদাহরণ দিচ্ছি। বললেন- ব্যাঙ্কিং, অর্থনীতি ডুবে যাবে। বিদেশ থেকে লোক এনে বলে গেল বিরোধীরা। এত খারাপ চেয়েছে অথছ এখন আমাদের পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক দ্বিগুণ মুনাফা দিচ্ছে। আমার এত খারাপ চেয়েছেন, অথচ ২০ বছর ধরে বেঁচে আছি তো আমি। এলআইসি আরও মজবুত হচ্ছে। যে যে সংস্থাকে বলেছে খারাপ হবে, তাঁরাই এখন মজবুত হচ্ছে। এইচএএল নিয়ে এত খারাপ কথা বলেছেন, সেই সংস্থা ডুবতে বসেছিল। এখন লক্ষ্মীলাভের মুখে। তাই বিরোধীরা খারাপ কিছু বললে তা দেশের জন্য ভাল'। 


মোদির কথায়, 'শুভ কাজে যাতে নজর না লাগে সেই কারণে যেমন কালো টিকা লাগানো হয়, তেমন বিরোধীরা কালো কাপড় এসে আমাদের সরকারের শুভ কাজে নজর দিচ্ছেন না। আমি বিরোধীদের খারাপ ভাষাকে নিজের জন্য টনিক হিসেবে খেয়ে নিচ্ছি।' 


এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মানুষও বুঝে গিয়েছে বিরোধীরা যেটিকে খারাপ বলবে সেখানেই বিনিয়োগ করতে হবে। কংগ্রেস জমানায় গরীব থেকে গরীব হয়েছিল দেশ। কাঙাল অবস্থা ছিল। যখন ডিজিটাল ইন্ডিয়া বলেছিলাম তখন বিরোধী বিদজ্জনেরা কত কথা বলেছিল যে এই দেশের মানুষের জন্য এ নিয়ম নয়। আর আজ বিশ্ব দেখছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া কীভাবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে।' 


মোদির নিশানায় ছিল কংগ্রেসও। তিনি বলেন, 'ভারতের বদলান করার জন্য কংগ্রেস মুখিয়ে থাকে। বিদেশিরা কিছু বললেই সেটাকে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে বলে চলেন। দেশের কিছুতেই ভরসা নেই ওদের। বিদেশের ওপর বেশি ভরসা।' 


তিনি বলেন, 'গত তিন দিন ধরে বিরোধীরা বক্তব্য রেখেছেন। সকলের কথাই আমি শুনেছি। দেশের জনতা আমাদের সরকারের প্রতি বারবার বিশ্বাস রেখেছে। দেশের কোটি কোটি নাগরিককে আমার শ্রদ্ধা তাই। ভগবান অনেক দয়ালু। উনি কারও মাধ্যমে নিজের ইচ্ছের পূরণ করে। আমাদের দলের কোনও অনাস্থা প্রস্তাবের দরকার পড়েনি। বিরোধীদের দরকার হয়েছে সবসময়। জনতা নিজেদের থেকেই বিরোধীদের ওপর অনাস্থা এনে দিয়েছে। আমাদের কিছু করতে হয়নি। জনতার আশীর্বাদে আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৮ তেও বিরোধীরা অনাস্থা এনেছিল। দেশবাসী আমাদের সরকারের ওপর বিশ্বাস রেখেছে।'