নয়াদিল্লি : আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরহিত্য়ে নীতি আয়োগের নবম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক বসছে। যে বৈঠকে মূল লক্ষ্য থাকবে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করা। শুক্রবার এক সরকারি বিবৃতিতে এমনই জানানো হয়েছে। নীতি আয়োগের অ্যাপেক্স বডিতে রয়েছেন- সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফ্টটেন্যান্ট গভর্নর এবং একাধিক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান মোদি।


সরকারি বিবৃতি অনুসারে, এই বৈঠকের লক্ষ্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা, সরকারি হস্তক্ষেপে বিতরণ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে গ্রামীণ ও শহুরে জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। আলোচনায় থাকবে বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর প্রসঙ্গও (Viksit Bharat @2047)। 


এদিকে দলের সিদ্ধান্তমতো আজকের নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না কংগ্রেস শাসিত হিমাচলপ্রদেশ, কর্ণাটক ও তেলঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রীরা। যাচ্ছেন না ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রী এবং সিপিএম শাসিত কেরলের মুখ্য়মন্ত্রী। যদিও বৈঠকে হাজির থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী। অর্থাৎ, বৈঠক কংগ্রেস, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি ও সিপিএমের মুখ্য়মন্ত্রীরা বয়কটের পথে হাঁটলেও, বৈঠকে থাকছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে ফের সেটিং কটাক্ষ করে সমালোচনায় সরব হয়েছে সিপিএম ও প্রদেশ কংগ্রেস।


বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতেও পৌঁছে গিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ! যেখানে বাজেট বৈষম্য়ের অভিযোগে কংগ্রেস-বাম সহ সিংহভাগ বিরোধী দলের মুখ্য়মন্ত্রীরাই মোদির নেতৃত্বে এই বৈঠককে বয়কট করছেন, সেখানে কেন হাজির হচ্ছেন তিনি, সেই যুক্তিও দেওয়ার চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আর এই সময়ই তাঁর মুখে উঠে আসে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নাম। মমতার কথায়, 'বাজেটে যদি দেখেন, সেখানে অন্য কিছু রয়েছে। পুরোপুরি বঞ্চিত করা হয়েছে। তখন আমার মনে হল, না আসলেই ভাল হবে। সেই কারণে গতকাল আমার কর্মসূচি বাতিল করেছি। তখন, অভিষেক ও অন্যরা আমাকে বলল আসতে। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলল, কারণ যেহেতু আসার কথা বলেছিলাম। আমি বললাম, তখন আর এখনকার সময়ের পার্থক্য আছে। ১০ দিনের মধ্যে অনেক কিছু বদলে গেছে। দল বলল, তাই আমি বললাম ঠিক আছে, আমি যাব।'


কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস ও সিপিএম এই যুক্তি মানতে নারাজ। জোটসঙ্গীদের প্রায় সবার উল্টোপথে হেঁটে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় শেষ অবধি নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশ নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্নটা উঠছে কারণ--- সম্প্রতি বারবারই কংগ্রেসকে এড়িয়ে I.N.D.I.A জোটের শরিক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে দেখা গেছে তৃণমূলকে। তাহলে কি নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির হয়ে কংগ্রেসকেই প্রচ্ছন্ন বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ? বুঝিয়ে দিলেন I.N.D.I.A জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে নারাজ তৃণমূল ? জোটের মধ্য়েই কি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে পৃথক জোট তৈরি করতে চাইছে তারা ?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।