নিউ দিল্লি : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১.২ কোটির বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। গ্রান্ট থর্নটন ভারত-এর 'অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং ইন ইন্ডিয়া'-র রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ২১টি সেক্টরে এইসব কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। এছাড়া ইস্পাত, ইটভাটা, সিমেন্ট, রং, হার্ডওয়্যার ও স্যানিটারির মতো ২৫০ সহায়ক শিল্প রয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।


রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ৫.৮ লক্ষ সিনিয়র সিটিজেন, ২ লক্ষ নির্মাণকর্মী, ১.৫ লক্ষ গৃহকর্মী এবং ১.৫ লক্ষ শিল্পী উপকৃত হয়েছেন।


গ্রান্ট থর্নটন ভারত এলএলপির তরফে টি রবিন্দর রেড্ডি বলেন, আবাসন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্য সেক্টরেও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলে। আর্থিকভাবে বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে যোগাযোগের ফলে, কোনও একটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হলে অপর সেক্টরেও তার বহুমাত্রিক প্রভাব পড়ে। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং আর্থিক বৃদ্ধি হয়। বিশেষ করে এটা নির্মাণ শিল্পে হয়। 


এক্ষেত্রে তিনি আরও বলেন, আবাসন ঘাটতি মেটানোর জন্য বিনিয়োগ করা হলে তার মাধ্যমেই আর্থিক বৃদ্ধি হবে। কারণ, এই ক্ষেত্রটি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পরিচিত।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব বাড়ির অনুমোদন রয়েছে সেগুলির জন্য ১৩ মিলিয়ন এমটি ইস্পাত ও ১৭.৭ মিলিয়ন এমটি সিমেন্টের চাহিদা রয়েছে। এর ফলে এই দুই শিল্পক্ষেত্র এখন চাঙ্গা।   


এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সহায়ক শিল্পের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এই তালিকার মধ্যে পড়ছে- আসবাবপত্র, পরিবহন, লোহা ও ইস্পাত, বৈদ্যুতিক, রং এবং প্লাম্বিং সামগ্রী। এসবের দ্রুত চাহিদা বৃদ্ধি হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১ কোটি ১০ লক্ষর বেশি বাড়ির অনুমোদন মিলেছে। এর মধ্যে গোটা দেশজুড়ে ৪০ লক্ষ ৮০ হাজারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৮০ লক্ষর ভিত্তি স্থাপন হয়েছে। এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য ২৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হাউজিং ও শহর সম্পর্কিত মন্ত্রক। সামগ্রিক বিনিয়োগ বেড়ে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার।