মুম্বই: পঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপরেটিভ (পিএমসি) ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। ৪,৩৫৫ কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারি সামাল দিতে গ্রাহকদের টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে আরবিআই। ছ’মাসে ৪০ হাজার টাকাই তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। এই ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আমানতকারীরা। অভিযোগ উঠেছে, তহবিল তুলতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে একাধিক আমানতকারীর। এত কম টাকায় ৬ মাস চলবে কী করে? এই চিন্তায় আরবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকরা।
এরই মধ্যে আরও এক মৃত্যুর ঘটনায় পিএমসির নাম জড়ালো। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের বাসিন্দা, ৭৩ বছরের ভারতী সদারঙ্গানির মৃত্যু হয় রবিবার। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু তাঁর জামাই চন্দন ছোটরানির দাবি, তাঁদের সিংহভাগ সঞ্চয় আছে পিএমসি ব্যাঙ্কে। তার পরিমাণ প্রায় আড়াই কোটি। কিন্তু এখন টাকা তোলার সীমা বেঁধে দেওয়ার পর প্রবল সঙ্কটে তাংদের পরিবার। সেই কথা মেয়ে জানান বয়স্ক মাকে। তার পরই চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন ভারতী।
পরিবারের দাবি, তাঁর আগে কোনও হার্টের অসুখ ছিল না। শুধু ভারতী নন, তাঁর মেয়েও একই রকম আতঙ্কের মধ্যে, জানিয়েছেন জামাই চন্দন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর জেট এয়ারওয়েজ কর্মী সঞ্জয় গুলাটির মৃত্যু হয় পিএমসি ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার পর। ওই একই দিনে এক ৩৯ বছরের মহিলা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন আতঙ্কে।
১৮ অক্টোবর ৮০ বছরের মুরলীধর ধারার মৃত্যু হয়। অভিযোগ,তাঁর পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় টাকাই তুলতে পারেনি, এই নতুন নিয়ম জারি হওয়ার দরুন।
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আর কত মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে? গ্রাহক শ্রীরাম ভেরা প্রশ্ন তুলেছেন, এতগুলি মৃত্যুর ঘটনা ঘটার পর সরকার এখনও কিছু করছে না কেন।