নয়া দিল্লি: যৌন নিগ্রহের অপরাধের ক্ষেত্রে সরাসরি ত্বকের স্পর্শ জরুরি নয়। বৃহস্পতিবার ‘শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন’ (পকসো) (POCSO) সংক্রান্ত এক মামলায় বম্বে হাইকোর্টের (Bombay Highcourt) রায় খারিজ করে নয়া রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। POCSO আইনের অধীনে যৌন নিপীড়নের অপরাধের জন্য 'Skin-to-skin' আবশ্যক, এমনটা জানিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই রায়কে বাতিল করল দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানান হয়েছে, যৌন নিগ্রহের অপরাধের ক্ষেত্রে সরাসরি ত্বকের স্পর্শ জরুরি নয়। শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, পকসো সংক্রান্ত মামলায় বম্বে হাইকোর্টের বিতর্কিত রায় খারিজ করে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। পকসো আইনে ত্বক স্পর্শ করলেই যৌন নির্যাতন নয়। এর আগে রায় দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। সেই রায় আজ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আইনের জটিলতায় অভিযুক্ত পার পাবে, সেটা উদ্দেশ্য নয়, এদিন এমনই ব্যাখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে তিন বিচারপতির বেঞ্চের।
আরও পড়ুন, গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রথমে ফেরানোর পর এসএসসি-র সংশোধিত হলফনামা গ্রহণ করল হাইকোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয় যে, বম্বে হাইকোর্টের রায় মানতে গেলে বলতে হয়, যে কোনও ব্যক্তি যদি গ্লাভস পরে কোনও নাবালিকার শরীরে হাত দেয়, যৌন হেনস্থা করে, তাহলে তা অপরাধ নয়। শিশুদের পোশাক খুলে বা জামাকাপড়ের ভিতরে হাত গলিয়ে তাদের বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে সেটা যৌন নির্যাতন বলে ধরা হবে না পকসো আইনে। সেই ক্ষেত্রে পকসো আইনও প্রয়োগ করা যাবে না। যদিও বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চ বম্বে হাইকোর্টের রায় খারিজ করে।
প্রসঙ্গত, ১২ বছর বয়সি এক শিশুকন্যার বুকে হাত দেওয়ায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পকসো মামলার প্রেক্ষিতে এই রায়ের শুনানি হয়। পকসো আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই অভিযুক্তের তিন বছর জেল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতি পুষ্পা বি গানেড়িওয়ালা নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে বলেন, অভিযুক্ত সতীশ বাণ্ডু রাগড়ে পকসো আইনে দোষী হতে পারেন না। কারণ তিনি নাবালিকার ত্বক স্পর্শ করেননি।