হায়দরাবাদ : চুরি - চামারি হলে পুলিশের উপরই ভরসা করে সাধারণ মানুষ। পুলিশ চাইলে চোরকে ধরতে পারে না , এমনটা হয় না ! বিশ্বাস করেন অনেকেই। এবার মোবাইল চোরের গ্যাং খুঁজতে গিয়ে পুলিশ খুঁজে পেল ৩ পুলিশ কর্মীকেই ! চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হায়দরাবাদে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চৌর্যবৃত্তি করত এই পুলশকর্মীরাই। অর্থাৎ রক্ষকই ভক্ষক । 


হাতে একের পর পর এক মোবাইল চুরির ঘটনার অভিযোগ জমা পড়েছিল। পুলিশ বুঝতে পারে এর পিছনে রয়েছে নির্দিষ্ট কোনও গ্যাং। পুলিশ চাইলে চোর ধরতে পারবে না, তা কি হয় ! ধরা পড়ল মোবাইল চোরেদের গ্যাং। আর কান টানতেই চলে এল তিন বড় মাথা।  শহর জুড়ে একাধিক মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িয়ে তিন জন পুলিশ ।


হায়দ্রাবাদে অকাধিক মোবাইল চুরির ঘটনায় ধরা পড়েছে ৯ জনের একটি দল। তাদের মধ্যে ৩ জন পুলিশ , ৬ জন পেশাদার চোর ! টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, মঙ্গলবার হায়দরাবাদের পাঞ্জাগুত্তা পুলিশ এদের গ্রেফতার করে। এই দুষ্কৃতী দলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ টি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ।  জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা চুরি হওয়া মোবাইল ফোনগুলি পশ্চিমবঙ্গে পাঠাত। তারপর ভারত-বাংলা সীমান্তের কাছে বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছে সস্তায় বিক্রি করা হত চুরির সামগ্রী।  আর চোরেরা ধরা পড়লে তাদের গ্রেফতার হওয়ার হাত থেকে বাঁচার গ্যাঁং-এর সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মীরা।  


এই চক্রের সঙ্গে ছিল এক কিশোরও। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ।  হোম গার্ড কে অশোক এবং গান্ধীনগর থানার কনস্টেবল পি সোমান্না ও  চিলকলগুদা থানার কনস্টেবল পি সাই রাম এই চক্রকে সাহায্য করত পেছন থেকে। পুলিশি সহায়তাতেই জাঁকিয়ে বসেছিল চুরির ব্যবসা, খূর পুলিশ সূত্রে।  এই গ্যাংয়ের কিংপিন ঝাড়খণ্ডের রাহুল কুমার যাদব । সে-ই বাকিদের নিয়োগ করে। শুধু হায়দ্রাবাদ নয়, ভারতের বিভিন্ন শহরে জাল বিছিয়েছিল এই গ্যাংটি। মানে একেবারে দেশব্যাপী ব্যাবসা।  সবজির বাজার, মেট্রো রেল, ধর্মীয়  জমায়েতে মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে চুরি করত তারা। কিছু বুঝতে পারার আগেই কেটে পড়ার চেষ্টা করত তারা। আর ধরা পড়া এড়াতে তারা একটা অদ্ভুত কৌশল নিত।  ভিড়ের মধ্যে নানাভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করত। তারপর হইচইয়ের সুযোগ নিয়ে চম্পট দিত
। 


চুরির মোবাইল এক শহর থেকে আরেক শহর ঘুরে বাংলায় এসে সীমান্তে পৌঁছে যেত।  সপ্তাহখানেক আগে, এই দলেরই একজন হায়দ্রাবাদ থেকে ৫৮ টি চুরি করা মোবাইল নিয়ে যায়। পুলিশের হাতে যে সব চুরি হওয়া মোবাইল এসেছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোহগের চেষ্টা করা হচ্ছে।