কলকাতা: সল্টলেকে বাড়ির ছাদ থেকে যুবকের পোড়া কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। সল্টলেকের এজে ব্লকের বাড়িতে দুই ছেলে অর্জুন ও বিদূর এবং মেয়েকে নিয়ে থাকতেন গীতা মাহেশ্বরী। স্বামী অনিল মাহেশ্বরীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি আলাদা থাকতেন। পরিবার সূত্রে খবর, ছোটবেলা থেকেই লিভার ও হৃদযন্ত্রের অসুখে ভোগা বড় ছেলে অর্জুন ঘনিষ্ঠ ছিলেন বাবার, আর ছোট ছেলে মায়ের আদরের। বৃহস্পতিবার সেই অর্জুনেরই পোড়া কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে বাড়ির ছাদ থেকে। বড় ছেলেকে খুনের অভিযোগে মা গীতা ও ভাই বিদূরকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। ঘটনার সময়ে গীতার মেয়ে বাড়িতে ছিলেন না।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনিল মাহেশ্বরীর দাবি, বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি ২০১৯ সাল থেকে রাজারহাটে থাকেন। সল্টলেকের বাড়িতে দুই ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন স্ত্রী। গত অক্টোবরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে রাঁচিতে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন। পরে জানতে পারেন, বড় ছেলে অর্জুন সেখানে যায়নি। এরপর বিধাননগর পূর্ব থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। গীতার সল্টলেকের বাড়ি তালা দেওয়া ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ পুলিশ গীতাকে নিয়ে ওই বাড়িতে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরের মধ্যে কিছু হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন মেলে। ছাদে দেখা যায়, কাপড়ে জড়ানো পোড়া কিছু পড়ে রয়েছে। সেখানেই উদ্ধার হয় বড় ছেলের পোড়া কঙ্কাল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কিছুদিন আগেই খুন করা হয় যুবককে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় পোড়ানো হয় মৃতদেহ। খুনের অভিযোগে গীতা ও তাঁর ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ছেলেকে খুনের কথা কবুল করেছেন মা।
কিন্তু কেন এমন নির্দয়, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন মা? পুলিশ সূত্রে খবর, অসুস্থ বড় ছেলের সঙ্গে মায়ের প্রায়ই অশান্তি হত। সে রকম কোনও অশান্তি চরম আকার নেওয়ায় ফলেই কি এই ঘটনা? না কি আক্রোশের পিছনে অন্য কারণ আছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এ সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।