নয়াদিল্লি: বিশেষজ্ঞদের অনুমতি পেলেই শিশুদের কোভিড ভ্যাক্সিন দেওয়ার নীতি গ্রহণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। শীঘ্রই এই কাজ শুরু হবে। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে শিশুদের কোভিড টিকাকরণ নিয়ে এই মন্তব্য করেছে কেন্দ্র।


সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের কমবয়সীদের ওপর কোভিড ভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। বর্তমানে শিশুদের ওপর কোভি়ড ভ্যাক্সিন প্রয়োগের পরীক্ষা একেবারে শেষের দিকে। একবার ট্রায়াল শেষ হলেই শিশুদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু করা যাবে। ট্রায়াল ছাড়া শিশুদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু হলে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।


সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর, শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি ডিএন প্যাটেল ও বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের সামনে শিশুদের কোভিড টিকাকরণের পরিস্থিতি নিয়ে খোলসা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানেই এই মন্তব্য করেন সরকারের প্রতিনিধি। সম্প্রতি দেশে শিশুদের ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে এক নাবালকের জনস্বার্থ মামলা দাখিলের জেরেই শুনানি শুরু হয় দিল্লি হাইকোর্টে।


যার ভিত্তিতেই দ্রুত ১২-১৭ বয়সীদের টিকাকরণের নির্দেশ দেওয়ার কথা বলে হাইকোর্ট। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিশুদের বেশি ক্ষতি করতে পারে এই আশঙ্কায় সরকারের কাছে দ্রুত দিক নির্দেশ চায় আদালত। যার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন শিশুদের ভ্যাক্সিনেশনের ট্রায়ালের কথা জানায় সরকার। এমনকী বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুমতি পেলেই শিশুদের টিকাকরণের নীতি ঠিক করা হবে বলে জানায় কেন্দ্র। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি।


এদিকে দেশে ভ্যাক্সিনের বর্তমান হালহকিকত নিয়ে মুখ খুলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। সরকার জানিয়েছে, দেশে এখনও পর্যন্ত ৪১.১০ কোটি ভ্যাক্সিনের ডোজ সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ৫২,৯০,৬৪০ টি ভ্যাক্সিনের ডোজ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। দ্রুত দেশে টিকাকরণের কাজ শেষ করার পক্ষপাতী সরকার। সম্প্রতি দেশের ভ্যাক্সিনের অভাব নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কড়া আক্রমণ করে বিরোধীরা। কেন্দ্র বিরোধিতার সেই তালিকায় নাম লেখায় বেশকিছু রাজ্য। যদিও কেন্দ্রের তরফে পাল্টা একহাত নেওয়া হয় বিরোধীদের। বলা হয়, এটা রাজনীতি করার সময় নয়। কোভিড যুদ্ধে এখন দেশকে একজোট হয়ে লড়তে হবে।