গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের বোলপুরে অস্ত্র সহ পাকড়াও যুবক।  তৃণমূলের অভিযোগ, ওই যুবক বিজেপি কর্মী।  স্থানীয় তৃণমূল নেতা জিতেন পাসোয়ানকে খুনের উদ্দেশ্যেই সে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর দাবি, নির্বাচনের পর থেকেই তাঁর ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে।  তাই তিনি সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখেন। এদিনই গ্রেফতার করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি।


ভোটের ফল বেরিয়ে গেছে। তৈরি হয়ে গেছে সরকার। তারপরও অশান্তি থামছে না বীরভূমে। বোলপুরের মিশন কম্পাউন্ড এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক বিজেপি কর্মী ধরা পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। আর এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কর্মীকে খুনের উদ্দেশে ওই যুবক এসেছিল বলে অভিযোগ। পাল্টা আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবিরের। ওই যুবকের থেকে উদ্ধার হয় নাইন এম এম পিস্তল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কয়েকজনের সঙ্গে রাস্তার পাশে কথা বলছিলেন বোলপুরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা জিতেন পাসোয়ান। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁকে খুন করতে অস্ত্র নিয়ে আসেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী শচীন চন্দ্র। তৃণমূল কর্মীরা অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।


বোলপুর তৃণমূল নেতা জিতেন পাসোয়ান বলেন, আমাকে তৃণমূল করতে দেবে না বলে এই সব করছে। তৃণমূল করি সেই জন্য আমরা ওখানে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখছি যাওয়া আসা করছে কয়েকজন, বন্দুকটা বার করে আমাকে খুন করতে চেয়েছিল, আগেও আমাকে মারার জন্য গুন্ডা পাঠিয়েছিল  অরূপ রায় । বিজেপির পাল্টা দাবি, এটি সাজানো ঘটনা। তাদের কর্মীদের ফাঁসাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি বোম বন্দুকের রাজনীতি করলে প্রতিরোধ গড়ে উঠত, ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, বিজেপি কর্মীদের হাতে বন্দুক তুলে দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। ধৃত বিজেপি কর্মীর ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বোলপুর মহকুমা আদালত।