কলকাতা: ‘২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রিত্বের মুখ মমতাই।’ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরের দিন এই মন্তব্য করলেন বাবুল সুপ্রিয়।
বঙ্গ রাজনীতিতে বড়সড় চমক দিয়ে গতকাল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন আসানসোলের দু’বারের সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
যোগ দেওয়ার ২৪-ঘণ্টা পর আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বাবুলকে প্রশ্ন করা হয়, কাকে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। এই প্রশ্নে অত্যন্ত কৌশলী জবাব দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বললেন, ‘সবচেয়ে পপুলার মানুষকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।‘ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করলেন, ‘মমতা যে পপুলার তাতে কোনও সন্দেহ নেই।‘
সদ্য তৃণমূলে যোদ দেওয়া বাবুলের মতে, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রিত্বের মুখ ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, সময় বদলেছে। এখন ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রিত্বের মুখ মমতাই।
তিনি বলেন, দেড় মাস আগেও বিজেপির কর্মী ছিলাম। নেতার কথাই বলতাম। এটা তো ঠিক কথা যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোট দিয়েছেন। বিরোধী দলের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। চব্বিশে যা হবে, মানুষের সামনেই হবে। তাঁরা মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি খাওয়ার প্রসঙ্গেও এদিন প্রতিক্রিয়া দেন বাবুল। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যা করেছিলেন, ঠিক করেছিলেন। সেদিনের কথা স্মরণ করে বাবুল বলেন, দিদি আমাকে ঝালমুড়ি অফার করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। তাঁর গাড়ি বেড়িয়ে যাওয়ার পর মমতার গাড়ি আসে।
তিনি যোগ করেন, উনি রাজভবনে যাওয়ার পথে আমাকে গাড়িতে উঠতে বলেন। আমারও কথা ছিল ইস্ট ওয়েস্ট, আসানসোল নিয়ে। কাজের জন্য করা যেতেই পারে।
বাবুল সাফ জানিয়ে দেন, তিনি সেদিন সঠিক কাজই করেছিলেন। বললেন, একজন সাংবিধানিক প্রধান ঝালমুড়ি খেতে বলেন, কেন খাব না। ঠিক করেছি, কাজের জন্য বিজেপি মন্ত্রীর সঙ্গে বসব, ধোকলা খাব।
তাঁকে সুযোগ দেওয়ার জন্য এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান বাবুল। বলেন, ‘এদিন তিনি বলেন, ‘আমি প্লেয়িং ইলেভেনেই থাকতে চাই। খেলার সুযোগ না পেয়ে বিজেপি ছেড়েছি। মমতা ও অভিষেককে ধন্যবাদ আমাকে প্রথম একাদশে রাখায়।’
আরও পড়ুন: খাটাখাটনির পরও কাজ করার সুযোগ না পাওয়াটা হতাশাজনক, বললেন বাবুল