কলকাতা: ভবানীপুরে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয়ী তৃণমূল নেত্রী। ভবানীপুরে ৫৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তাঁকে ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন অখিলেশ যাদব। তিনি লিখেছেন, মমতাদির জয়ই সত্যের জয়। সমাজবাদী পার্টির নেতা লিখেছেন, এটাই 'সত্যমেব জয়তে' রীতি। 



প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।একুশের বিধানসভা ভোটের দ্বিগুণ ব্যবধানে জয়। ২০১১-র উপনির্বাচনের জয়ের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গেলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর এই জয়ের প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেছেন,"ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন এটার জন্য ভবিষ্যৎ বাণী করার দরকার ছিল না। কিন্তু তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস অনেক কম। ভোটদানের হারেই তার প্রমাণ মিলেছে।" 


এদিকে, ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। পনির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল বিপুল ভোটে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। হারের পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের।


আরও পড়ুন, ভবানীপুরে ছাপ্পা ভোট হয়েছে, হারের পর প্রতিক্রিয়া প্রিয়ঙ্কার


তিনি বলেন, "মানুষকে যদি ভোট দিতে দিত তাহলে কী ফলাফল হত সেটা আমরা, আপনারা সকলেই জানতেন।  ৮২ ওয়ার্ডের চিত্র যদি দেখা যায় তাহলে বোঝা যাবে যে পরিমাণে ওখানে ভোট পড়েছে তা পুরো ছাপ্পা ভোট। ফেক ভোটিং হয়েছে। আমি নিজেই তো ধরেছিলাম অনেককে সেখানে। সংবাদমাধ্যমের সামনেই সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। আমি ১০১ শতাংশ নিশ্চিত ছাপ্পা ভোটের বিষয়ে। তবে সংগঠনেও বেশ কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। সেটা স্বীকার করছি। আরও অনেকটা কাজ করতে হবে।" 


ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়ের রেশ ত্রিপুরায়। আগরতলায় সবুজ আবির মাখিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে উৎসব তৃণমূলের। এদিকে, জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন। ভোট শতাংশর পরিমাণই প্রমাণ করে, সবাই ভোট দিতে পারেননি। বিজেপিকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। এই সমর্থন পাথেয় করে চার কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে ভাল ফল করবে বিজেপি, দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।


তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, "এই জয় ভবানীপুরের মানুষের জয়, বাংলার মানুষের জয়। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অন্যায় হয়েছে, অসৎ উপায়ে কারচুপি করে পিছন দিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুরি মারা হয়েছে তখন আমরা আওয়াজ দিয়েছিলাম নন্দীগ্রামের বদলা নিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিন। ভবানীপুরের ঘরের মেয়ের অপমান হয়েছিল সেদিন তাই মানুষ আজ তার বদলা নিল। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু মিরজাফরের কাজ করেছিল। এখানে ববি হাকিম মিরজাফর নয়। অনুগত্যের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। তাঁর জন্য প্রাণও দিতে পারেন। এই জয়ই বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর বাংলায় আটকে রাখা যাবে না।"