দীপক ঘোষ এবং কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তনের দিনই, দিলীপ ঘোষের পোস্ট ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি যখন ক্রমশ ভাঙছে, তখন ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন দিলীপ ঘোষ। পোস্টে  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি লিখেছেন, অনেক দালাল নির্বাচনের আগে আমাদের দলে ঢুকে গিয়েছিলেন। কিছুজন গিয়েছেন, কিছু এখন রয়েছেন। তাঁরা উৎপাত করছেন।


এরপর রীতিমতো হুঁশিয়ারি সুরে দিলীপ ঘোষ লেখেন, সবাইকে বাদ দেব। এরা চায় না বিজেপি শক্তিশালী হোক। এবিপি আনন্দকে ফোনে তিনি বলেন, "এদের উপর ভরসা করে পার্টি ডুবেছে, ভরসা করে ভুল হয়েছিল, কিছু লোক মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে সাবধান করছি, আগেই বলেছিলাম দিল্লি বলল যে যাওয়ার যাক।" 


সদ্য প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই পোস্ট ঘিরে জল্পনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে থেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। সেই তালিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। এদিকে রবিবারই ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় গিয়ে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। 






যদিও পাল্টা দিলীপ ঘোষকেই দুষেছেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, "দল বেঁধে যারা ঢুকেছিল তখন দিলীপের সভাপতির সময় হয়েছিল, আপত্তি করেনি, আহ্লাদে আটখানা হয়ে স্বাগত জানান, হেরে যাওয়ায় হতাশা বেরিয়ে আসছে, দিলীপের বাদ দেওয়ার অথরিটি নেই, দলত্যাগের উপর ভিত্তি করে এগোনোর চেষ্টা করলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।" 


এদিকে,  এদিন তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি কৃতজ্ঞতা জানাই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একটা অভিমানে, জেদের বশে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি ভুল করেছিলাম। আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। নানা রকম স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত।"