কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডির তলব নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ প্রসঙ্গে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য শনিবার বলেন তদন্তের ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আইনের ঊর্ধ্বে নন। 


সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই তদন্তে অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে কারণ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারে না। তৃণমূল সুপ্রিমোকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অমিত মালব্য। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো এবং তাঁর স্ত্রী কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এবং ইডি তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ এনেছে। তাঁদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।" 


এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই অভিষেক ও তাঁর  স্ত্রীর নাম জড়ানো হচ্ছে। এর আগেও রুজিরাকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কয়লাকাণ্ডের তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ সদস্যের দল গঠন করে সিবিআই। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছিল।


এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "অভিষেকের সঙ্গে পারলে, রাজনৈতিক লড়াই লড়ো। একটা ইডি দেখালে, আমিও বস্তা ভরে তথ্য দেব। কিছু না হলে আমরাও আদালতে যাব। এত প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি আমি আগে দেখিনি। কয়লা চুরিতে শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে? কয়লা কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়। বিজেপি নেতাদের নিয়ে কেন সিবিআই তদন্তে যাচ্ছে। সব কমিশনকে পলিটিক্যাল বানানো হচ্ছে।"  


মমতার কথায়, "দিল্লি আমাদের সঙ্গে না পারলে এজেন্সি লাগিয়ে দেয়। রাজনীতিতে এঁটে উঠতে না পারলে, এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রচারে আসানসোলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উঠেছেন কয়লা মাফিয়াদের হোটেলে। মনে রাখুন, অমিত শাহ এটা চলতে পারে না।"