নয়া দিল্লি: বিধানসভা ভোটের আগে বালি পাচার মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে গ্রেফতার করল ইডি। এদিকে এই ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের। গতকাল জলন্ধর থেকে গ্রেফতার করা হয় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত্‍ সিং চান্নির ভাইপো ভূপিন্দর সিং হানিকে। 


ইডি-র দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বালি পাচার মামলায় পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। নগদ টাকা, মূল্যবান সামগ্রী-সহ কয়েক কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে ইডি-র দাবি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবে ১১৭টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ। তার আগে এই গ্রেফতারি ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। প্রতিহিংসার রাজনীতি, দাবি কংগ্রেসের।


বালি খননের অভিযোগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চান্নির ভাইপোকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার প্রায় ৮ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই সহযোগীকেও। দিন কয়েক আগে ভোটমুখী পাঞ্জাবের লুধিয়ানা, মোহালি ও পঠানকোট-সহ ১০টি জায়গায় অবৈধ বালি খননের মামলায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ।                                                                             



চান্নির ভাইপোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কুদরত দীপ সিং নামে এক খনি মাফিয়ার তৈরি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। যদিও, ভাইপোর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী চান্নি।                                     


ঘটনাটির পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি জানান, 'পঞ্জাবের আসন্ন নির্বাচনের আগে বিজেপি অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য একটি ষড়যন্ত্র করেছে।' আমাকে ফাঁসানোই লক্ষ্য ওদের।


তিনি ইডি অভিযানকে "প্রতিহিংসার রাজনীতি" বলে মনে করছেন। তিনি দাবি করে জানান, ভাগ্নে ভূপিন্দর সিংয়ের বিষয়ে আগে কোনও মামলা করা হয়নি। ভূপিন্দর সিংয়ের গ্রেফতারের পর পঞ্জাবের বিরোধী দলগুলি আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।