কলকাতা: গোয়া বিধানসভা ভোটে ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল। ২ লক্ষ নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি। গোয়ায় সরকারি ক্ষেত্রে ৩ বছরে ১০ হাজার শূন্যপদ পূরণ করা হবে। প্রতি মাসে মহিলাদের ৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। বাড়ানো হবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ। উল্লেখ তৃণমূলের ইস্তেহারে।


 







সামনেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Five State Assembly Elections)। তার আগে বুধফেরত সমীক্ষায় (Exit Polls) নিষেধাজ্ঞা। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত ভোটমুখী রাজ্যগুলিকে নিয়ে কোনও রকম বুথফেরত সমীক্ষা এবং তার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। নির্দেশ অমান্য করলে কমপক্ষে দু’বছরের জেল এবং জরিমানা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে বুথফেরত সমীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়। তাতে বলা হয়, সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল-সহ কোনও মাধ্যমেই বুথফেরত সমীক্ষা এবং তার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। সেই নিয়ে চালানো যাবে না কোনও রকম প্রচারও। ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা থেকে ৭ মার্চ সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।


দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা না গেলেও, সাংগঠনিক বৈঠকে নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানিয়ে দিয়েছেন, চার পাশে যতই হাঁকডাক হোক না কেন, তৃণমূলে এখনও তিনিই শেষ কথা। অভ্যন্তরীণ কলহে যখন দলে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, সেই সময় দলনেত্রীর এমন মন্তব্য কর্মীদের ভরসা জোগানোর পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে করছেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)। কোনও রাখঢাক না করেই তিনি জানিয়েছেন যে, তৃণমূলে মমতার কোনও বিকল্প নেই।


শনিবার এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠন দেখবেন বললে তৃণমূল কর্মীরা ভরসা পান। দলটা উনি তৈরি করেছেন। ওঁর নামে দল চলে। সুতরাং উনি যে সংগঠনে যুক্ত রয়েছেন, এই বার্তা পেলে কর্মীরা যেমন আশ্বস্ত হন, তেমনই ভরসা পান মানুষও। দলে অন্য পদাধিকারী ছিলেন এবং আছেনও। কিন্তু তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই।’’