কলকাতা: কয়েকদিন ধরেই বেসুরো হয়েছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে কাজের সুযোগ নেই বলে গত বছর নভেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই পদ্মের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল জয়ের। এরপর সল্টলেকে তৃণমূল নেতার সঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পর বিজেপিত্যাগী নেতা বলেন, তিনি তৃণমূলে যেতে চান।
এদিন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এ বিজেপি করা যায় না, তৃণমূলে যুক্ত হতে চাই'। এও জানা গিয়েছে, তৃণমূলে আসতে চেয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন তিনি। গোয়া ভোটের পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা, দাবি জয়ের। তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি-র বাঙালি-বিরোধী অবস্থান দেখেই সরে এসেছি। একের পর এক বাঙালি-বিরোধী অবস্থান নিয়েই চলেছে বিজেপি সরকার। তার প্রতিবাদ করেই দল ছেড়ে এসেছি।
প্রসঙ্গত, ২০০৯-১০ সাল থেকে তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যেত জয়কে। কিন্তু, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি। বীরভূমে বিজেপি-র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। ২০১৬ সালে জয় সিউড়ি বিধানসভায় বিজেপির তরফে তাঁকে প্রার্থীও করা হয়েছিল। অবশ্য জিততে পারেননি। এরপর ২০১৯ সালে উলুবেড়িয়া লোকসভা ভোটেও জয় পাননি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জয়।চিঠিতে তিনি জানান, কঠিন অসুখের চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ বারংবার দলের কাছে হাত পাইলেও কেউ কানাকড়িও দেয়নি।
এদিকে, জয়ের তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছে নিয়ে বিজেপির তরফে বলা হয়, ‘দল থেকে কেউ গেলে তা সুখকর নয়, যেখানেই যান, ভাল থাকুন’।