কলকাতা: পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফর শেষে আজ গোয়ায় পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাগডোগরা (Bagdogra) বিমানবন্দর থেকে বিমানে পানাজি পৌঁছলেন তৃণমূল নেত্রী। আগামিকাল গোয়ায় (Goa) তৃণমূলনেত্রীর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। তিনদিনের সফরে যোগদান কর্মসূচির পাশাপাশি, গোয়ার আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শনিবার রাজ্যে ফিরবেন তৃণমূলনেত্রী। পাহাড় ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী (Cm Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, আগামী মাসে তিনি ফের আসবেন পাহাড়ে। 






গোয়া যাওয়ার আগে, আগামী মাসে ফের পাহাড়ে আসবেন বলে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কাল গোয়ায় তৃণমূলনেত্রীর একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপির তরজা। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পানাজি বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর পর দেখানো হয় কালোপতাকা, দেওয়া হয় জয় শ্রীরাম স্লোগান। 


ইতিমধ্যেই গোয়ায় ঘাঁটি করে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়, মানস ভুঁইয়া ও বাবুল সুপ্রিয়রা! এদিনই, গোয়ায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে, তৃণমূলনেত্রীর ঘরোয়া বৈঠকের কথা রয়েছে। গোয়ায় সক্রিয় রয়েছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকও! শুক্রবার, গোয়ায় তৃণমূলনেত্রীর একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে।


যোগদান কর্মসূচির পাশাপাশি, গোয়ার আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনা হতে পারে। গোয়ায় তৃণমূলনেত্রীর জনসভা করারও কথা রয়েছে।


তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমরা ত্রিপুরায় গিয়েছি। গোয়াতেও ঢুকেছি। আরও ৫-৭টা রাজ্যে যাব। এটা কী মাস? অক্টোবর। সামনে নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি। হাতে তিন মাস হাতে সময় আছে। গোয়ায় বিধানসভা আসন ৪০টি। দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিন মাসে গোয়ায় জোড়াফুল ফুটবে। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। আপনারা লিখে নিন। গোয়ায় বর্তমানে বিজেপির সরকার রয়েছে। তারা অবশ্য তৃণমূলকে গোয়ায় রাজনৈতিক পর্যটক হিসাবে দেখছে!


রাজনীতিতে কি এবার নতুন চমক? বৃহস্পতিবার গোয়া পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূলের হয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। আর সেই প্রশান্ত কিশোরই আবার গোয়ার মাটিতে বসে কার্যত মোদির কৃতিত্বকে কুর্নিশ করলেন। সওয়াল করলেন বিজেপির হয়ে। ফের একবার খোঁচা দিলেন কংগ্রেসকে। এবার তাঁর কটাক্ষের নিশানা রাহুল গান্ধী।


ভোট কুশলী  প্রশান্ত কিশোর বলেন, জিতুক বা হারুক, ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বিজেপি। যেভাবে কংগ্রেস প্রথম ৪০ বছর রাজনীতিতে ছিল, তেমনই বিজেপিও কোথাও চলে যাচ্ছে না। জাতীয়স্তরে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট থাকা মানে খুব তাড়াতাড়ি বিজেপি হারিয়ে যাবে না। সুতরাং মানুষ প্রবল আক্রোশে মোদিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন, এই ভ্রান্ত ধারণায় বিশ্বাস রাখবেন না। হয়তো তাঁরা মোদিকে সরাবেন, কিন্তু বিজেপি থেকে যাবে।


রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলে থাকেন, মোদি-অমিত শাহকে হারিয়ে, তৃণমূলের বঙ্গ জয়ের নেপথ্যে প্রশান্ত কিশোরের কৌশল বড় ভূমিকা নিয়েছেন! আর সেই প্রশান্ত কিশোরের মুখেই কি না, কার্যত মোদির প্রশংসা। বিজেপির হয়ে ভবিষ্যদ্বাণী। তৃণমূল অবশ্য প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরি করেছে।