নয়া দিল্লি: ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আগামী কয়েক দশক ধরে ভারতীয় রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন পদে থাকবে, এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বর্তমানে গোয়া সফরে রয়েছেন। ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির (আইপ্যাক) প্রধান বলেন, বিজেপিকে "অনেক দশক" ধরে লড়াইও করতে হবে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে তাঁর সংস্থা। বাংলায় পিকের স্ট্র্যাটেজিতেই বিজেপি রুখতে পেরেছে তৃণমূল, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। আগামী কয়েক দশকে বিজেপির শক্তিশালী উপস্থিতির ভবিষ্যদ্বাণী করার সময়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেন যে তিনি সম্ভবত একটি বিভ্রমের মধ্যে রয়েছেন। মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করা কেবল সময়ের অপেক্ষা, এমন ভাবনা ভুল।
ভোট কুশলীর কথায়, “বিজেপি ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে, তারা জিতুক, হারুক না কেন। কংগ্রেস যেমন প্রথম ৪০ বছর ছিল তেমনই। বিজেপি কোথাও যাচ্ছে না। একবার আপনি জাতীয় স্তরে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে গেলে, আপনি দুম করে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে চলে যাবে না। তাই সকলে মোদির বিপক্ষে রয়েছে, ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে এটা ভাবা ভুল। বিজেপি আপাতত ক্ষমতা থেকে সরছে না।”
এরপরই পিকের কথায়, "এখানেই রাহুল গান্ধীর সমস্যা। সম্ভবত, তিনি মনে করেন যে এটি কেবল সময়ের ব্যাপার যখন লোকেরা তাঁকে (নরেন্দ্র মোদী) দূরে ফেলে দেবে। সেটা হচ্ছে না।"
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বিরোধী শিবিরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপি সহ অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে যোগদানের ঢল চলছে। এরইমধ্যে বীরভূমে বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের প্রায় পাঁচটি গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা ।
বুধবার বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন ২০০ জন সিপিএম ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা । যোগদানকারী স্থানীয় নেতারা এলাকায় দলের নেতৃত্ব দেবেন বলেও জানালেন অনুব্রত মণ্ডল । তিনি বলেন, এদের নেতৃত্বে হবে এলাকায় কাজ ।