লখনউ:  আসন্ন বছরেই নির্বাচন। তার আগে কৃষক আন্দোলন থেকে লখিমপুর খেরির মতো কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh)। এদিকে ২০২২-এ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। এই প্রেক্ষাপটে ভোটবাক্সে যে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে কৃষক সম্প্রদায় (Farmers) তা বলাই বাহুল্য। সেই আবহেই এবার বড় ঘোষণা করলেন সমাজবাদী পার্টির (samajwadi party) প্রধান অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)।


কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক কৃষক। মুলায়েম-পুত্র বলেন, "যদি তাঁর দল ২০২২ এর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে, তাহলে মৃত কৃষক পরিবার পিছু ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।" 



এদিকে , উত্তরপ্রদেশ ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ। জনতার মন জয় করতে ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে একের পর উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ঘোষণা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী, যিনি এই উত্তরপ্রদেশেরই বারাণসীর সাংসদ। উল্টোদিকে লোকসভায় মুখ থুবড়ে পড়ার পর, এবার বিধানসভায় বিজেপির থেকে উত্তরপ্রদেশ ছিনিয়ে নিতে ময়দানে নেমে পড়েছেন অখিলেশ যাদব। একের পর এক হারে বিদ্ধ হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশে তলানিতে পৌঁছে যাওয়া কংগ্রেস প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে সামনে রেখে লড়াইয়ে নেমেছে।


আরও পড়ুন, গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে বিরাট পদক্ষেপ,কয়েক কোটি টাকার চুক্তি করল কেন্দ্র


প্রচারে নেমে যোগীর মুখে যখন ফের উঠে আসছে সেই ‘কবরিস্তান’ প্রসঙ্গ। তখন অখিলেশের মুখে জিন্না। প্রিয়ঙ্কার হাতিয়ার মহিলাদের হাতে আরও বেশি করে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার স্লোগান। আর প্রথমবার উত্তরপ্রদেশে ভোটে নামার আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুখে রাম নাম!


ভারতীয় রাজনীতিতে বহুল প্রচলিত কথা, উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লির তখ্ত-ও তার। কী হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যের বিধানসভা ভোটে? তার আভাস পেতেই সমীক্ষা চালিয়েছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা আসন সবচেয়ে বেশি ৪০৩টি। অর্থ্যাৎ ম্যাজিক ফিগার ২০২। সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে, উত্তরপ্রদেশে ২১৩ থেকে ২২১টি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি। ১৫২ থেকে ১৬০টি আসনে জয়লাভ করে দ্বিতীয় স্থানে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি পেতে পারে ১৬ থেকে ২০টি আসন। কংগ্রেস ৬ থেকে ১০টি এবং অন্যরা ২ থেকে ৬টি আসন পেতে পারে।