কলকাতা: বঙ্গ সফরে এসেছেন জেপি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার নিউটাউনের হোটেলে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘করোনা না এলে এবারই আমরা ক্ষমতায় চলে আসতাম।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আগে দেশে অনেক দুর্নীতি হত। তবে মোদি জমানায় তা বন্ধ হয়েছে। 


শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভোটে হার নিয়ে জেপি নাড্ডার দাবি, ‘চতুর্থ দফার ভোটের পর ঠিকমতো প্রচারই করতে পারিনি। করোনার জন্য প্রায় প্রচার ছাড়াই বিজেপিকে ভোটে লড়তে হয়েছে। না হলে যে গতিতে এগোচ্ছিলাম, তাতে এবার নিশ্চিত ছিল’। 


কলামন্দিরের অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, ‘৮ বছর আগে দেশে কথায় কথায় দুর্নীতি হত। কিন্তু আজ মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। দেশ বদলে গেছে, বাংলাতেও পরিবর্তন আসবে। আগে ধর্মের নামে, জাতের নামে রাজনীতি হত। তোষণের রাজনীতি বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ প্রান্তিক মানুষের স্বার্থে পদক্ষেপ করছেন তিনি।  আত্মনির্ভর ভারত গঠনে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করতে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারত আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ।'


আরও পড়ুন, নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, সংগঠন পুনর্গঠনের কাজে হাত দিল বিজেপি, মিশে গেল শক্তিকেন্দ্র ও বুথ কমিটি


এছাড়াও নাড্ডার কথায়, ‘রফতানির ক্ষেত্রে ভারত দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। জিএসটি প্রণয়ন করে এক দেশ, এক কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এক দেশ এক রেশন কার্ডে পরিযায়ী শ্রমিকরা সুবিধা পাচ্ছেন। দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে রেশন তুলতে পারছেন। বিশ্বের ৪০ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন এখন ভারতে হয়। ২২ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে’।           


বৃহস্পতিবার সফরের শেষ দিনে বেলুড় মঠ যান নাড্ডা। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর পর দুপুর ২টোয় সায়েন্স সিটিতে রাজ্যের সমস্ত মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন নাড্ডা। সেখান থেকে কলামন্দিরে যান।